ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সঙ্গে আজ শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষে বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশগ্রহণ করেন।
পবিত্র কোরআন তিলওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। অন্যদের মধ্যে উপহাইকমিশনার মো. আমিনুল ইসলাম খান দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
আলোচনাপর্বে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান তাঁর বক্তব্য শুরু দেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিকামী বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাঙলাদেশ মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরা বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, এরকম বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারায় বৈষম্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বান জানিয়ে হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
পরিশেষে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।