শনিবার   ডিসেম্বর ২৮ ২০২৪   ১৩  পৌষ  ১৪৩১


তজুমদ্দিনে বাস্তুচ্যুতদের টেকসই পুনর্বাসনে স্থানীয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করণ বিষযক সেমিনার অনুষ্ঠিত

খন্দকার নিরব

Updated 24-Dec-26 /   |   তজুমুদ্দিন (ভোলা) উপজেলা প্রতিনিধি   Read : 3

খন্দকার নিরব, ভোলাঃ

কোস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় সমন্বিত স্থানীয় জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শক্তিশালীকরণে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় তজুমদ্দিন  উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ।  

বিশেষ অতিথি তজুমদ্দিন প্রেসক্লাব আহ্বায়ক ফখরে আজম পলাশ।

কোস্ট ফাউন্ডেশন তজুমদ্দিন আঞ্চলিক প্রোগ্রাম অফিসার রাজিব ঘোষ এর সঞ্চালনায় সেমিনারের শুরুতে উপস্থিতিদের পরিচিতি ও পরে সেমিনারের প্রধান আলোচক কোস্ট ফাউন্ডেশনের হেড অব দ্যা ক্লাইমেট চেইঞ্জ এর আবুল হাসান সেমিনারের মূখ্য উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম নিয়ে ভিডিও প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

সেমিনারের প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর প্রস্তাবনামুলক সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন, উপজেলা যুবদল নেতা ও ক্রিয়া সংস্থার সদস্য জাবেদ হোসেন দিপু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আল মামুন, তজুমদ্দিন প্রেসক্লাব যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন লিটন, কোস্ট ফাউন্ডেশন উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রজেক্টের সভাপতি মোঃ শামীম, তজুমদ্দিন রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার নিরব, তজুমদ্দিন শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক মুক্তা চক্রবর্তী, কোস্ট ফাউন্ডেশনের চাঁদপুর ইউনিয়ন সমন্বয়কারী লিজা আক্তার।

সেমিনারে আলোচকগন বলেন, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ। বায়ুমন্ডলের উঞ্চতা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের তুষারধ্বসে সাগর-মহাসাগরের পানির স্তর যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে করে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে বাংলাদশের দক্ষিনাঞ্চলের বিরাট একটি নিচু অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। এতে করে বিশাল একটি জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়বে, তাদের আশ্রয়ানের প্রয়োজন পড়বে। এ সমূহ ঝুঁকির মধ্যে আমাদের চারিদিকে নদীবেষ্টিত ভোলা জেলা অন্যতম।

ক্লাইমেট চেইঞ্জ এর কারনে ঘন-ঘন ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও নদী ভাঙন কবলিত হয়ে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ আবাদী ভূমি ও জনবসতি নদী ও সাগরবক্ষে বিলীন হয়ে গেছে। এতে একদিকে আবাদী জমি ও ফসলী জমি যেমন কমছে, অন্যদিকে মানুষ ভূমিহীন ও গৃহহীন হয়ে পড়ছে। তাই এই সকল লোকদের জন্য বেশি বেশি সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আশ্রায়ন প্রকল্প গড়ে তোলা সহ তাদের স্বাস্থ্যসম্মত জীবন ও বেঁচে থাকার জন্য নুন্যতম জীবিকার ব্যবস্থাও গ্রহন করতে হবে। এ জন্য বক্তাগন বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে বাংলাদেশের জন্য ন্যায্য পাওনা থেকে চারিদিকে নদীবেষ্টিত এবং দেশের বিচ্ছিন্ন ব-দ্বীপ ভোলা এর বরাদ্ধ বৃদ্ধি করা হলে এখানে ইতোপূর্বে নদীর করাল গ্রাসে যারা সিকস্তি ও উদ্বাস্তু হয়ে বিভিন্ন স্থানে মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছে তাদের জন্য উন্নত আশ্রায়ন প্রকল্প গড়ে তোলা যাবে, তাদের শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা পাওযার ক্ষেত্রও নিশ্চিত করতে হবে।

তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষের জান-মাল জলোচ্ছ্বাস থেকে নিরাপদ রাখতে হলে অচিরেই বেড়িবাঁধের কাজ সম্পন্ন করতে হবে এবং টেকসই করতে হবে। এ কাজে সরকারকেই জরুরী ভিত্তিতে উদ্যোগী হতে হবে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।