কুয়েত বিএনপির নির্বাচিত কমিটি নিয়ে ষড়যন্ত্রঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কুয়েত শাখা গত ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারী একটি সম্মেলন করে। যে সম্মেলনে প্রধান ভূমিকা পালন করে সৌদিআরব পশ্চিম অঞ্চল বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জনাব আহমেদ আলী মুকিব । বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ভার্চুয়ালী তদারক করে সম্মেলন। একটি সফল সম্মেলনের পরে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে শীর্ষ পাঁচ নেতা নির্বাচিত হন । সভাপতি নির্বাচিত হন চট্টগ্রামের সন্তান কুয়েত যুবদলের সাবেক সফল সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সিলেটের আবুল হাসেম এনাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সিগঞ্জের শেখ মোস্তাফা কামাল, সিনিয়র সহসভাপতি ঢাকার আব্দুল কাদের মোল্লা ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক চট্টগ্রামের আজিজ উদ্দিন মিন্টু । সম্মেলনের পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও অনুমোদনের দায়িত্ব পায় কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, সৌদিআরব পশ্চিম অঞ্চল বিএনপির সভাপতি জনাব আহমেদ আলী মুকিব । কিন্তু অদৃশ্য কারনে গত দুইবছর পাঁচ মাসেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি, ব্যার্থহন মুকিব । সভাপতি মাহফুজুর রহমান মাহফুজ কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে বলেন প্রায় দুইবছর আগে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে সমন্বয়ক আহমেদ আলী মুকিব সাহেব কে দেওয়া হয়েছে, কিন্ত কেন কমিটি আসছে না বলতে পারবো না। সাধারণ সম্পাদক জনাব আবুল হাসেম এনাম প্রায় একি উত্তর দেন। এদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে বিলম্ব হওয়ার দরুন তৃনমুল নেতাকর্মীরা কেউ সভাপতির গ্রুপ কেউ সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায় । সভাপতির সাথে সাংগঠনিক সম্পাদক সহ একটি অংশ আর সাধারণ সম্পাদকের সাথে একটি অংশ আলাদা ভাবে রাজনীতি করে। সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি সিলেট হওয়ার, আহমেদ আলী মুকিবের কাছ থেকে বিশেষ অনুকম্পা পায়। সম্প্রতি শ্রমিক দলের একটি অনুষ্ঠানে আহমেদ আলী মুকিব তার বক্তব্যে বলেন কুয়েত বিএনপির মেয়াদ শেষ, আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন কমিটি দেওয়া হবে।
তৃণমূল নেতাদের প্রশ্ন,অদ্যাবধি যে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হলো না, সে কমিটির মেয়াদ শেষ হয় কিভাবে? কুয়েত বিএনপির সভাপতি জনাব মাহফুজুর রহমান মাহফুজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোস্তাফা কামাল তৃনমুলে জনপ্রিয় নেতা, কিন্তু আহমেদ আলী মুকিব সাহেবের পছন্দের না। যে কারনে কাউন্সিলরদের বিপুল সমর্থনে নির্বাচিত হয়েও কমিটি আলোর মুখ দেখেনি । গত দুইদিন যাবৎ কুয়েত বিএনপির তৃনমুলে ব্যাপক অসন্তোষ বিরাজ করছে।
নেতা কর্মীদের অভিযোগ এ ভাবে যদি দলের কার্যক্রম চলতে থাকে এবং কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জনপ্রিয় নেতাদের দলীয় নেতৃত্বের বাহিরে রাখা হয় তাহলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।
কুয়েত বিএনপির সকলের দাবি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের প্রতি, তারা যেন অনতিবিলম্বে কুয়েত বিএনপির নির্বাচিত পাচজনেল নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়, যেহেতু কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নেতৃত্ব । বর্তমান সময়ে নির্বাচিত কমিটি অনুমোদন পেলে আগামী আন্দোলন সংগ্রামে কুয়েত বিএনপি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে। আহমেদ আলী মুকিবের বিরুদ্ধে আঞ্চলিকতা ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়। নেতাকর্মীদের অভিযোগ এর আগে টাকার বিনিময়ে কুয়েত বিএনপির আহব্বায়ক কমিটির 'সদস্য সচিব' করে সিলেটের শওকত আলী কে, যে শওকত আলী আগের কমিটির সদস্যও ছিলো না।