বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কুয়েত শাখা দীর্ঘদিন পর কাউন্সিল করতে যাচ্ছে। কুয়েত বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয় 2004 সনে, তখন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন যথাক্রমে ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন এবং ইঞ্জিনিয়ার কাজী মঞ্জুরুল আলম । দীর্ঘদিন একতরফা নেতৃত্বের ফলে দল ভেঙ্গে তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে চলতে থাকে। তিন ভাগে বিভক্ত দলকে একত্রিত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে সৌদিআরব পশ্চিম অঞ্চল বিএনপির সভাপতি, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য জনাব আহম্মদ আলী মুকিব । আহম্মদ আলী মুকিব দুই দফা কুয়েত এসে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান মধ্যপ্রাচ্য বিএনপির সাংগঠনিক দায়িত্ব দেয় আহম্মদ আলী মুকিব কে। দায়িত্ব পেয়ে কুয়েত বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের দুবাই ডেকে পুরনো কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহব্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয় । মাস্টার নূরুল ইসলাম কে আহব্বায়ক ও শওকত আলী কে সদস্য সচিব করে সাতচল্লিশ সদস্য বিশিষ্ট আহব্বায়ক কমিটি অনুমোদন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । করোনা পরিস্থিতি এবং কুয়েতের মহামান্য আমির মৃত্যু বরন করায় চল্লিশ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে, এজন্য সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এখন আবার আসন্ন সম্মেলন কে কেন্দ্র করে কুয়েত বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যাচ্ছে । যানা গেছে ইতি মধ্যে ছয়টি প্রদেশ কমিটি চুড়ান্ত, পরিবেশ হলে সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হবে। বিভিন্ন পদে একাধিক প্রার্থী থাকার দরুন জমে উঠেছে রাজনীতি । সভাপতি পদে তিনজন প্রভাবশালী প্রার্থী রয়েছে, তারা হলেন সোয়েব আহম্মেদ, মাহফুজুর রহমান মাহফুজ এবং মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন । সাধারণ সম্পাদক পদে তিন জন প্রার্থী, তারা হলেন আবুল হাসেম এনাম, আব্দুল কাদের মোল্লা ও আক্তারুজ্জামান শামছ । সাংগঠনিক সম্পাদক পদেও একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে । সম্মেলন কে ঘিরে কুয়েত বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের মাঝে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে । সর্বত্র আলোচনা কে হচ্ছে সভাপতি, কে হচ্ছে সাধারণ সম্পাদক