বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) চাঁদা দাবির ওই অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তুমুল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তবে নাজমুল ইসলাম খান সৌরভ দাবি করেছে ছড়িয়ে পড়া রেকর্ডে যে কণ্ঠ শোনা গেছে, সেটি তার নয়।
মুঠফোনের অপর পাশে থাকা ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মনোহর আলী তারতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলায় তার একটি মোবাইল শো-রুমের রয়েছে।
মনোহর আলী অভিযোগ করেন, অনেক দিন থেকে উপজেলা সদরের বালিজুড়ি সিনেমা হল সড়কে মোবাইল ফোনের শো-রুম দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। সম্প্রতি উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পৌর এলাকার চাঁদপুর গ্রামের লুলু খানের ছেলে সৌরভ দলবলসহ দোকানে ঢুকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় ওপর হামলা হয়, ভাঙচুর করা হয় দোকান। পরে সৌরভের মোবাইল ফোন থেকে একাধিকবার পর ফোন দিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদাবাজির ওই রেরর্ডটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই রেকর্ডে শোনা গেছে, ‘দুই (২ লাখ) কালকে রেডি কইর্যা, রেডি কি? খালি তুলবা। তুইল্যা মিল হবা। আওয়ামী লীগের আমলে যা করছো, তা তো করছোই। ওর চেয়ে এহন বেশি করবা। বেশি কইলে ভুল হইবো, মানে দুই ভাই মিইল্যা ....ভরে সবকিছু করমু।’
নাজমুল ইসলাম খান বলেন, এটা আমার দলের মধ্যে কোন্দলের কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। ভয়েসটি (কণ্ঠ) আমার নয়। এ ব্যাপারে থানায় একটি জিডি করেছি।
মাদারগঞ্জ থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, ছাত্রদল নেতা নাজমুল ইসলাম খান সৌরভ একটি জিডি করেছেন। বিষটি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।