মায়ের লাশে, কাটা মাথার পর এবার মিললো শিশু সন্তান সাইমার অর্ধগলিত লাশ। ঘাতক আতিকুল ইসলামের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) আতিকুলের বাড়ির পেছনের বাগানে পুতে রাখা সাইমার লাশ উদ্ধার করেছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার সকালে বড় বদনাপাড়ায় মরিচ ক্ষেত থেকে সাইমার মা ঝিনুকের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় লাশের একটু দূরে কাপড়ভর্তি একটি ব্যাগে (লাগেজ) মোবাইল নম্বর লেখা কাগজ, সিম উদ্ধার করা হয়। এরপর শনিবার সকালে বোরখা পড়ে পালানোর সময় ঘাতক আতিকুলকে কাবিলপুর ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের রংপুর সি-সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) আসিফা আফরোজ আদুরি জানান, প্রায় দেড়মাস আগে সাইমাকে হত্যার পর লুঙ্গি পেঁচিয়ে বাড়ির পিছনের বাগানে ৩/৪ফিট গর্ত করে পুতে রাখে আতিকুল। আতিকুলের স্বীকারোক্তি নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ মাটি খুড়ে সাইমার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয় লাশ।
শনিবার আতিকুল ইসলামের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যেখান থেকে ঝিনুকের লাশ উদ্ধার হয়েছিল সেখান থেকে ১ কিলোমিটার দূরে টোংরারদহ নামকস্থানে নদীর পাড়ে কাঁদার নিচ থেকে ঝিনুকের কাটা মাথাও উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
জানা গেছে, পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের বড় বদনারপাড়া গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে আতিকুল ইসলাম (৩৫)। আতিকুল এলাকায় জুয়াড়ি হিসেবে পরিচিত ছিল বলে জানান পুলিশ।