টেকনাফ সরকারি ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মো. শামসুল আলম হত্যার দশ বছর পরও বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। জামিনে থাকা আসামিরা নিহতের স্ত্রী ও মামলার বাদি দিলসাদ বেগমকে নানা রকম হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় দ্রুত বিচার সম্পন্ন ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে কলেজ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও পরে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন-উত্তর সমাবেশে অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল বলেন, “একজন শিক্ষককে প্রকাশ্যে হত্যা করার ১০ বছর পরও বিচার হয়নি, যা খুবই দুঃখজনক। আসামিরা বাদিকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে।” অধ্যাপক সিরাজুল হক সিরাজ বলেন, “এলাকাবাসী জানেন কারা এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তবুও মামলাটি রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আটকে আছে।” দ্রুত বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর বিকালে মো. শামসুল আলমকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর স্ত্রী দিলসাদ বেগম ২ নভেম্বর ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন, যার মধ্যে ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়, কিন্তু বর্তমানে কেউই কারাগারে নেই।