চট্টগ্রা এ সময় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন – এনডিএম এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জনসংযোগ এবং সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ এমরান চৌধুরী, সদস্য সচিব মো. বেলাল উদ্দীন, সহ-সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম, মহানগর দপ্তর সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি শাহারুফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এনডিএম এর সভাপতি মো. ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মো আরিফ মঈনুদ্দিন, আরফাতুল ইসলাম, মো আনোয়ার, রমজান আলী, রফিকুল ইসলাম, রবিন মন্ডল, মো. জাহেদুল আলম, ওয়াহিদ হাসান হৃদয়, মো. মহসিন, মো: মনজুর উদ্দিন, মিটু, নাছির উদ্দীন, ডা কামরুল ইসলাম, মো. হেলাল, রাশেদুল ইসলাম জুয়েল, মো. শাহাবুদ্দিন সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ এমরান চৌধুরী বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারীদের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগ বিশ্বে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। স্বৈরাচার সরকারের কুফল এখনও জনগণকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। দেশের মানুষ পরাধীনতার শেকলে আটকা পড়েছিল। বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বিচার দাবি করারও সাহস করেননি। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্টের কথা বলে বিশ্বের কাছে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এ সময় আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সবসময় অতীত নিয়ে পড়ে না থেকে, শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলাই এখন প্রত্যাশা। দেশের সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করারও আহ্বান জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে পতিত সরকারের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে বর্তমান সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।গণমানুষের দাবী সমূহঃ- সাম্প্রদায়িক উস্কানী দাতাদের চিহ্নিত করে দ্রত গ্রেফতার করতে হবে। আওয়ামীলীগ, ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি সহ গণ হত্যায় জড়িতদের দ্রত প্রেফতার করতে হবে। বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জুলাই হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। শহীদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। পাহাড়ের পাদদেশে ভূমিহীন যারা ঝুঁকিপুর্ণভাবে বসবাসরত তাদেরকে সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে পুনর্বাসন করতে হবে। দেশের শান্তি-শৃংখলা এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করে সার্বজনীন বিজ্ঞানভিত্তিক যুগোপযোগী শিক্ষা চালু করতে হবে। চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। কর্ণফুলী নদী ও খাল সমূহ দখলমুক্ত করতে হবে, দখলকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসকররা রোগীদের ভাল করে চিকিৎসা করে না, রোগীদেরকে চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন এতে সরকারী হাসপাতালের বদনাম ছড়িয়ে যাচ্ছে, তা নিরসনের উদ্যোগ নিতে হবে। জলবদ্ধতা দুরীকরণ প্রকল্প, ফ্লাইওভার-চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প সহ সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিগত সময়ের দুর্নীতি, লুটপাটের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ করে তাদের সম্পদের হিসাব নেয়া ও তাদের আটক করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।