ফ্যাসিস্ট ও তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা এখনো তৎপর বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে ঐক্য বজায় রাখবে বলেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জোনায়েদ সাকি এ কথাগুলো বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, তারা ভারতে আশ্রয় নিয়ে ওই দেশের গণমাধ্যম, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতায় বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের সামনে এমনভাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছে, যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, ‘গত ৫৩ বছরে অনেক লড়াই হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের ক্ষমতা কাঠামোর বদল, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার ও তার মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, আইনের সংস্কার করা—এই বিষয়গুলো রাজনৈতিক সংগ্রামে আমাদের কেন্দ্রীয় বিষয়ে পরিণত হয়নি।’
এবারের গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান বিষয়গুলো তুলে ধরেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, এই রাষ্ট্রব্যবস্থা বাতিল করতে হবে, প্রতিষ্ঠান ও আইনের সংস্কার করতে হবে এবং একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ক্ষমতায় যারা যাচ্ছে, তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে বলে উল্লেখ করেন। সেই কাঠামো তৈরির ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যে স্বাধীনতাসংগ্রাম, সেখানে মানুষের জনআকাঙ্ক্ষা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। যে রাষ্ট্র তৈরি হচ্ছে, সেই রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু গত ৫৩ বছরে আমরা দেখেছি, নাগরিকদের জন্য এগুলো প্রতিষ্ঠা হয়নি; বরং বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই উল্টো স্রোতে হেঁটেছে।’
শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি।