নারায়ণগঞ্জ শহরে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম মো. ওয়াজেদ সীমান্ত (২০)। তিনি রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ছাত্র ছিলেন। সীমান্ত পরিবারের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকায় থাকতেন।
সীমান্তের বাবা আলম চান বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে দেওভোগের বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে শহরের ডিআইটি এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তাঁর ছেলে আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে ছেলের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত ১০টার দিকে সীমান্তের মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ওই তরুণের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার কথা ছিল। কিন্তু পরে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আসেননি। ওই তরুণের মৃত্যুর বিষয়টি তিনি শুনেছেন। আইন অনুযায়ী হত্যা মামলা হবে। ছিনতাইকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরার চেষ্টা চলছে।
সীমান্তের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। সংগঠনটির সভাপতি ফারহানা মুনা ও সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, সাত বছর আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে তরুণ সাংবাদিক শাহরিয়ার মাহমুদ ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত হন। সেই ঘটনার আজ পর্যন্ত কোনো বিচার হয়নি। উল্টো শ্রমিক–অধ্যুষিত এই শহরের প্রতিটি পাড়া–মহল্লা ছিনতাইকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া এলাকায় দিনদুপুরে মানুষ ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। সীমান্তের মৃত্যু এরই ধারাবাহিকতা।