অবৈধভাবে ভারত যাওয়ার পথে নারী ও শিশুসহ ১২ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে রামগড় ৪৩ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন নলুয়াটিলা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির উত্তর ধুরুং গ্রামের বাসিন্দা গোপি নাথ (৫৭), তার স্ত্রী রুপালী রানী নাথ (৪৩), ছেলে কৃষ্ণ নাথ (২১), সঞ্জয় নাথ (৪০), তার ছেলে দীব্য কৃষ্ণ নাথ (১২), মুক্তা দে (৪৩), তার দুই মেয়ে ঈশিতা দত্ত (২৫) ও পুষ্পিতা দত্ত (২০)। ফটিকছড়ির ফকিরহাটের ইমামনগর গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ কান্তি নাথ (৪৫) এবং চট্টগ্রামের মহেশখালীর খোয়ানখ গ্রামের বাসিন্দা অর্নব কুমার দে (৩৭), তার স্ত্রী রাজশ্রী দেবী (৪৩) ও ছেলে অনিরুদ্ধ দে (৪) ।
ভারতের ত্রিপুরা আগরতলায় আত্মীয়ের বিয়ের নিমন্ত্রণে তারা ভারত যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, সোমবার রাতে রাতগড় ৪৩ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ফটিকছড়ির নলুয়াটিলায় টহল দিচ্ছিল বিজিবির একটি দল। এসময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মেইন পিলারে প্রায় ১০০ গজের কাছাকাছি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ চেষ্টার অভিযোগে আটককৃতদের ফটিকছড়ির ভুজপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে।
৪৩ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছেন বিয়ের নিমন্ত্রণে অংশ নিতে ত্রিপুরার আগরতলায় যাচ্ছিলেন তারা। ভিসা বন্ধ থাকায় তারা দালালের মাধ্যমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাদেরকে সীমান্ত পার করে দেওয়ার জন্য ৫৫ হাজার টাকা নেয় এক দালাল।
বিজিবি পরিচালক আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্ত পার হয়ে ওপারে আটক হলে তারা নিজেরা বাঁচার জন্য ভারতীয় বিএসএফ-মিডিয়ার কাছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ব্যাপারে বানোয়াট কথা বলে। এ পরিস্থিতিতে পুরো সীমান্ত এলাকায় নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।