নিহতরা হলেন আব্দুর রশিদ (৫৫), তার স্ত্রী বকুল আক্তার (৪৫), শ্যালক বিদ্যা মিয়া (৪২) ও বিদ্যা মিয়ার ছেলের বউ লাবনী আক্তার (১৮)। তারা সবাই নেত্রকোনা সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার বাসিন্দা। নিহত বিদ্যা মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম ও অটোরিকশাচালক অন্তর মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতদের স্বজন সেলিনা আক্তার জানান, অসুস্থ শ্বশুর খোরশেদ আলমকে দেখতে গাজীপুরের শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকা থেকে আব্দুর রশিদ ও পরিবারের অন্যান্যরা ভোর ৪টার দিকে নেত্রকোনার শিমুলকান্দির উদ্দেশে রওনা হন। ময়মনসিংহ পৌঁছে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করেন তারা। অটোরিকশাটি তারাকান্দা গাছতলা এলাকায় পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান জানান, ময়মনসিংহ থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নেত্রকোনায় যাচ্ছিল। পথে তারাকান্দার গাছতলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী একটি বালুবাহী ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। পরে আহত অবস্থায় আরও চার জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার নাজমুস সাখাওয়াত বলেন, এ ঘটনায় আহত আরও দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আরও দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।