স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, আমাদের সৈন্যরা তাদের বন্দী করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে তারা খুব গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের পুনরুজ্জীবিত করা যায়নি।
তবে কতজন সেনাকে আটক করা হয়েছে, তা উল্লেখ করেননি তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন উত্তর কোরিয়ার প্রথম যুদ্ধবন্দি হিসেবে এই সেনা সদস্যদের আটক করেছে।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ ইউক্রেনের হাতে আটক উত্তর কোরিয়ার এক আহত সেনার মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল।
রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে মস্কোর হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
ইউক্রেন আগস্টে কুরস্কে বেশ শক্তি নিয়ে আক্রমণ শুরু করে। রাশিয়াকে সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য করে। জেলেনস্কি বলেন, উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের অনেক লোকসান আছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী এবং উত্তর কোরিয়ার তত্ত্বাবধায়করা এই কোরিয়ানদের বেঁচে থাকার বিষয়ে মোটেও আগ্রহী নয়।
সিউলের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, তারা 'মিত্রদের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগির মাধ্যমে' এই আটকের তথ্য পেয়েছে। তবে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেনি।
যদিও মস্কো বা পিয়ংইয়ং কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সেনাদের উপস্থিতির কথা স্বীকার করেনি।