রাজশাহীতে সাবেক ছাত্রদল নেতা এবং তার সহযোগীদের ছুরিকাঘাতে যুবদল এবং ছাত্রদলের দুই নেতা আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত দুজনকে সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চাঁদা না পেয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে আহতদের অভিযোগ।
হামলার আগে চাঁদাবাজরা দুইজনকে অপহরণ করে। তাদের উদ্ধার করতে গেলে দুজনের ওপর হামলা হয়। শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে জেলার পবা উপজেলার দর্শনপাড়া এলাকায় অপহরণ এবং ছুরিকাঘাতের এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব এবং পবার দামকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম সরকার। দুজনেই পবার দামকুড়া ইউনিয়নের শীতলাই এলাকার বাসিন্দা। তাদের দুজনেই রামেক হাসপাতালের চার নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত মাসুম সরকার উত্তরভূমিকে জানান, যুবদল নেতা হাবিব এবং তিনি দর্শনপাড়া এলাকায় একটি পুকুর খনন করছেন। গত বৃহস্পতিবার পবার দর্শনপাড়া এলাকার ছাত্রদলের সাবেক নেতা জনি এবং তার সহযোগীরা তাদের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তারা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পরের দিন শুক্রবার বিকালে জনি, তার সহযোগী দারুশার সুমন এবং রাজশাহী মহানগরীর রাণীদিঘির পাপ্পু এবং শ্রীরামপুর এলাকার পাপ্পুসহ ১৫ থেকে ২০ জন চাঁদাবাজ পুকুর খননের স্থানে যায়।
এ সময় জনির নেতৃত্বে চাঁদাবাজরা যুবদল নেতা হাবিবের ভাই মোবারক এবং এসকেভেটরের (মাটি খনন কার যন্ত্র) চালক দেলোয়্রাকে অপহরণ করে। এরপর হাবিব এবং মাসুম সন্ধ্যার দিকে খবর পেয়ে দারুশা-নওহাটার রাস্তায় অপহৃত মোবারক ও দেলোয়ারকে উদ্ধার করতে যান। এসময় চাঁদাবাজরা হাবিব এবং মাসুমের ওপর হামলা চালান।
মাসুম আরও জানান, অপহৃতদের উদ্ধারের সময় চাঁদাবাজরা তাকে এবং হাবিবকে ছুরিকাঘাত করে। তার বাম হাত এবং পিঠে ছুরির ছয়টি আঘাত রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরে রক্ত দেওয়া হয়েছে। একইভাবে হাবিবের পিঠে এবং মাথায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। হামলার সময় চাঁদাবাজরা আগ্নেয়াস্ত্রও প্রদর্শন করে। এসময় পুকুর খননের কাজে খরচের জন্য তাদের কাছে থাকা সাত লাখ টাকাও কেড়ে নেয় চাঁদাবাজরা। চলে যাবার সময় নিয়ে যায় দুইটি মোটরসাইকেল।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জনি বলেন, আহত যুবদল নেতা হাবিব আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এছাড়া অপর আহত মাসুম আমার বড় ভাই। আমি হামলা বা অপহরণের সাথে সম্পৃক্ত না। চাঁদা দাবির অভিযোগও ভিত্তিহীন। তাদের ওপর হামলার পরে আমি তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রেখেছি। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে কর্ণহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান উত্তরভূমিকে বলেন, এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।