পটিয়া সরকারি কলেজের অর্নাস ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আরজু আক্তার ঈদের ছুটিতে নানা বাড়ি বেড়াতে আসে। আরজুর মায়ের আপন খালাত ভাই নাজিম উদ্দিন উক্ত বাড়িতে আসে। সম্পর্কে আরজু আর নাজিম মামা-ভাগ্নি। তারা রাতের খাবার শেষে যে যার মত ঘুমাতে চলে যায়।
রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় আরজু আক্তারকে তার শয়নকক্ষে দেখতে না পেয়ে তার নানা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে টয়লেটের মেঝেতে আরজু আক্তারের মুখে ওড়না ঢুকানো এবং গলায় পেচানো অবস্থায় দেখতে পাওয়া পায়।
প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে নাজিম মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন অতঃপর হত্যা করেন। তৎক্ষণাৎ আব্দুল হাকিম ডাক-চিৎকার শুরু করলে নাজিম তাকে ও তার স্ত্রীকে দা দিয়ে গুরুতর জখম করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই মান্যবর পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন এবং অভিযুক্ত পলাতক আসামী নাজিমকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় আসামি কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন রশিদনগর ইউনিয়নের কাদমার পাড়া দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান করছে। অতপর ঐ এলাকায় রাতভর অভিযান করে ১১/৪/২৫খ্রিঃ গভীর রাতে নাজিমকে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত অভিযানে কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও সিআইডি, কক্সবাজার টিম সহায়তা করে। গ্রেফতার পরবর্তী নাজিম উদ্দিনকে নিয়ে মামলা সংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সংক্রান্তে চন্দনাইশ থানার মামলা নং-০৫, তারিখ-০৯/০৪/২০২৫, ধারা-৩০২/৩২৬/৩০৭ পেনাল কোড তৎসহ ৯(৪) (খ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধন/২০২৫) রুজু হয়। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
উক্ত অভিযানে সফলতায় মান্যবর পুলিশ সুপার মহোদয় জেলা গোয়েন্দা শাখার সকল সদস্যদেরকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই অভিযানে সকলের অবদান অবশ্যই প্রশংসনীয়।
আমাদেরকে অভিযানে উৎসাহিত করার জন্য পুলিশ সুপার স্যার ও সকল স্যারদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।