নিউজ ডেস্ক: টাঙ্গাইলে তৃতীয় লিঙ্গের এক (হিজরা) ব্যক্তিকে আটকের প্রতিবাদে টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা-ভাঙচুর করেছেন তাদের সদস্যরা। এ সময় তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের আক্রমণের শিকার হয়ে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। সন্ধ্যায় শহরের এলজিইডি মোরে অবস্থিত পুলিশ ফারির সামনে লোক জনের জটলা দেখে এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজরা) দের তান্ডবে এলাকার লোকজন হতবাক হয়ে যায় । হিজরারা বারবার পুলিশ কে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে দুই লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও খারাপ আচরন করছে।
মনিকা নামের আটক তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি জানান, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি যখন পুরুষ ছিলেন, তখন সে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে। দীর্ঘদিন ঘরসংসার করার পর একটি কন্যাসন্তান হয় তাদের।
তিন বছর আগে তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয় এবং একপর্যায়ে তিনি তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তরিত হন। ফলে তার স্ত্রী বাচ্চা রেখেই তাকে তালাক দিয়ে অন্য একজনকে বিয়ে করেন। এর পর থেকেই তিনি বাচ্চা নিয়ে ঢাকায় থাকেন।
গত শনিবার বাচ্চা নিয়ে গ্রামের বাড়ি জামালপুরে যান মনিকা। আজ পুনরায় ঢাকা ফেরার পথে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাইপাস এলাকায় পৌঁছলে গাড়িচালক ও অন্য যাত্রীরা মনিকার কোলে বাচ্চা দেখে সন্দেহ করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন এবং ৯৯৯-এ ফোন করলে টাঙ্গাইল সদর ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে মনিকাকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
একপর্যায়ে মনিকা তাদের সর্দারকে ফোন দেন। পরে টাঙ্গাইলের বেশ কয়েকজন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি ফাঁড়িতে এসে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় তৃতীয় লিঙ্গের আরও দুই সদস্যকে আটক করা হয়।
টাঙ্গাইল সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ শামিম হোসেন জানান, বাচ্চা চুরি করে পালাচ্ছে–এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দেহমূলকভাবে মনিকাকে আটক করায় অন্যরা ফাঁড়িতে ভাঙচুর করেছে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।