সোমবার   ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪   ৯  পৌষ  ১৪৩১


অনুমোদনের অপেক্ষায় কুয়েত বিএনপির নির্বাচিত কমিটিঃ

NiralaTv

Updated 22-Mar-20 /   |   Admin   Read : 254
অনুমোদনের অপেক্ষায় কুয়েত বিএনপির নির্বাচিত কমিটি ।

অনুমোদনের অপেক্ষায় কুয়েত বিএনপির নতুন কমিটি, 
মধ্য প্রাচ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র কুয়েত । কুয়েতে প্রায় তিন লক্ষ বাংলাদেশী নাগরিক বসবাস করে। কুয়েত প্রবাসী অধিকাংশ নাগরিক রাজনৈতিক ভাবে বিএনপি অনুসারী এবং রাজনৈতিক সচেতন । প্রবাসে বিএনপির যে কয়টি ইউনিট বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরব ভূমিকা পালন করে তার মধ্যে কুয়েত ইউনিট অন্যতম প্রধান । বিগত দিনে কুয়েত বিএনপির নেতৃত্বে যারা এসেছে তারা সবাই অত্যন্ত মেধাবী এবং যোগ্যতা সম্পন্ন । সর্বশেষ অনুমোদিত কমিটি দীর্ঘদিন ক্ষমতার আসনে থাকার কারনে কিছু সংখ্যক নেতা উপদল করে আলাদা ভাবে কর্মসূচী পালন করতে থাকে। মুল ধারার বাহিরে থেকে আরও দুইটি গ্রুপ বিদ্রোহ করতেই থাকে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রবাসে থাকার কারনে, বিদেশের কমিটি গুলির দিকে বিশেষ নজর দেয় । দীর্ঘদিনের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি ঢেলে সাজানোর জন্য মধ্যপ্রাচ্যে সাংগঠনিক দায়িত্ব প্রদান করা হয় সৌদিআরব পশ্চিম অঞ্চল বিএনপির সভাপতি আহমেদ আলী মুকিব কে। দায়িত্ব পেয়ে আহমেদ আলী মুকিব দুই দফা কুয়েত এসে বিদ্যমান তিনটি গ্রুপ কে সমন্বয় করে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে, নতুন করে সাতচল্লিশ সদস্য বিশিষ্ট আহব্বায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় অনুমোদন এনে দেয় । আহব্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক করা হয় সাবেক সহসভাপতি মাস্টার নূরুল ইসলাম কে এবং সদস্য সচিব করা হয় রাজনৈতিক দৃশ্যপটের বাহিরের একজন সফল ব্যবসায়ী, জনাব  শওকত আলী কে। কথিত আছে, আহমেদ আলী মুকিব এর ঘনিষ্ঠ শওকত আলীর বাড়ি সিলেট হওয়ায় তাকে সদস্য সচিব করা হয় । ঐক্যের স্বার্থে সবাই মেনেও নেয় ।
আহব্বায়ক কমিটির দির্ঘ এক বছরের প্রচেষ্টায় ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারী সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ভাবে ঐতিহাসিক  সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালী অংশগ্রহণ করে । সফল সম্মেলনের মাধ্যমে সরাসরি ভোটে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক,সাংগঠনিক সম্পাদক সহ এক জন করে সহসভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয় । প্যানেলভুক্ত নির্বাচনে এক প্যানেল থেকে সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক জয় লাভ করে, অন্য এক প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয় । সভাপতি নির্বাচিত হয় যুবদলের সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী  মাহফুজুর রহমান মাহফুজ , সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  আবুল হাসেম এনাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোস্তফা কামাল, সহসভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক যথাক্রমে আব্দুল কাদের মোল্লা ও আজিজ উদ্দিন মিন্টু নির্বাচিত হয় । একটি সফল সম্মেলনের পরে স্বাভাবিক ভাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার কথা। সম্মেলনের এক বছর তিন মাস অতিবাহিত হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো হয়নি । পূর্ণাঙ্গ কমিটি  হতে দেরি হচ্ছে কেন প্রশ্ন করলে সভাপতি মাহফুজুর রহমান মাহফুজ বলেন পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা মধ্যপ্রাচ্য বিএনপির সমন্বয়ক জনাব আহম্মদ আলী মুকিব এর কাছে দেওয়া আছে, যে কোন সময় অনুমোদন হতে পারে। আবার একি প্রশ্ন সাধারণ সম্পাদক কে করা হলে, বলেন সভাপতি মাহফুজুর রহমান মাহফুজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে আমরা রাজনীতি করবো না। কুয়েত বিএনপির অধিকাংশ নেতা এবং কর্মী ধারনা করছে যেহেতু আবুল হাসেম এনাম সিলেটের মানুষ এবং আহম্মদ আলী মুকিবের ঘনিষ্ঠ, সেহেতু সাধারণ সম্পাদকের মর্জিমতো কমিটি দিতে দেরি করছে।
এ দিকে দীর্ঘদিন যাবত অন্য নেতারা দলীয় কার্যক্রম ও কর্মসূচী পালন করতে পারছে না। কারন, অনেকেই প্রিয় দলের মধ্যে গ্রুপিং বা বিভাজন দেখতে চায় না। নির্বাচিত পাঁচ নেতা বাদে অন্য কেউ  পদবি ব্যবহার করতে পারছে না, তার জন্য সাধারণ নেতা কর্মীদের মাঝে  খোপ ঘনীয়ভুত হচ্ছে । 
সাধারণ নেতা কর্মীদের দাবি আগামী ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের আগে কুয়েত বিএনপির কমিটি গঠন করে দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত কুয়েত বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিবে, আহম্মদ আলী মুকিব । ব্যাক্তিগত ভাবে ধার্মিক এবং সজ্জন ব্যক্তি  আহম্মদ আলী মুকিবের উপর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের যেমন আস্থা আছে, তেমনি  কুয়েত বিএনপির প্রত্যেকটি নেতা এবং কর্মীর অগাধ বিশ্বাস আছে যে, সে স্বজন প্রীতি, আঞ্চলিকতা বা সাংগঠনিক কোন অনিয়ম করবে না। তার বক্তব্যেও একাধিকবার বলেছে ' কাবা ঘড়ের গিলাব ধরে প্রতিজ্ঞা করেছে তার মাধ্যমে যেন আল্লাহ্ কোন অনিয়ম না করায়।
কুয়েত বিএনপির প্রত্যেক নেতা এবং কর্মী আশা করে  অতি শীঘ্রই কুয়েত বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি আসবে। সবাই মিলেমিশে কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচী পালন করবে, নেত্রীর মুক্তি সহ সরকার পতনের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পরবে।