নিজস্ব প্রতিবেদক//
টাঙ্গাইলে (টাঙ্গাইল সদর-৫) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী এডভোকেট মামুনুর রশিদ’র নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের ওপর গুলির ঘটনায় সরাসরি জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন—ফারুক হোসেন ও কামরুল। র্যাব জানায়, এই দুজনকে গতকাল সোমবার (২৫ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (২৪ডিসেম্বর) রাত এগারটার দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলাধীন বাঘিল ইউনিয়নের যুগনী নামক গ্রামে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশিদের সমর্থকদের ওপর অতর্কৃত গুলির ঘটনা ঘটে। এতে বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, কর্মী এমদাদুল হক ও সিয়াম গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের প্রথমে টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেরণ করা হয়।
গুলির এ ঘটনায় গতকাল বিকেলে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা হয়। মামলার বাদী গুলিতে আহত রোকনুজ্জামানের বাবা ফজলুল রহমান। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি বিশ থেকে পঁচিশ জন উল্লেখ করা হয়। আসামিরা সবাই আসনটির স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) ও বর্তমান সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেনের সমর্থক।
গুলির এ ঘটনার পর আবদুর রাজ্জাক ও আকাল মিয়া ওরফে আকালু নামের দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এরপর এখন র্যাবের পক্ষ থেকে অপর দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হলো। এ-সংক্রান্ত তথ্য জানাতে আজ মঙ্গলবার (২৬ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দ. আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার দুজন এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।পূর্ববিরোধ, অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান খন্দ. আল মঈন।
এ মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে র্যাব কর্মকর্তা খন্দ. আল মঈন অবশ্য বলেন, ঘটনার দিন রাতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে রোকনুজ্জামান, এমদাদুল, সিয়ামসহ কয়েকজন কর্মী সমর্থক বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ফারুক ও কামরুলের নেতৃত্বে কয়েকজন তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এছাড়াও তাঁরা দেশি অস্ত্র দিয়েও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের আঘাত করেন। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
কমান্ডার খন্দ. আল মঈন আরও বলেন, ঘটনার পর ফারুক ও কামরুল পালিয়ে রাজধানীর উত্তরায় এসে আত্মগোপন করেন।র্যাবের ভাষ্য মতে, ফারুক আগে অস্ত্রসংক্রান্ত মামলায় ও কামরুল নারী নির্যাতনসংক্রান্ত মামলায় কারাভোগ করেছেন বলে জানা যায়।