কক্সবাজার জেলার ঈদগাহ বাজারের প্রভাবশালী ব্যক্তি আবু তৈয়ব চৌধুরী, যিনি অতীতে সুপারি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষের দাবি, তিনি সুপারি ব্যবসার আড়ালে মাদকের ডিলার হিসেবে কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন এবং ক্ষমতাসীন দলের দোসর হয়ে বিভিন্ন শহরে মাদকের চালান পরিচালনা করেন।
তৈয়ব চৌধুরীর বংশে কোনো চৌধুরী উপাধি ছিল না, সাধারণ জনগণের জমি দখল ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজেকে বিশিষ্ট চৌধুরী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ঈদগাহ থানার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে তিনি নামের আগে চৌধুরী উপাধি লাগিয়েছেন, যা তার প্রভাব বাড়িয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ঈদগাহ উপজেলার নিরীহ খামারিদের সর্বস্বান্ত করতে খালি চেক ও স্ট্যাম্প নিয়েছেন এবং তাদের দেউলিয়া করেছেন। তার প্রভাব এতটাই বেশি যে, ঈদগাহ উপজেলায় অরাজকতা সৃষ্টি করাটা তার জন্য তুচ্ছ বিষয়।
৫ আগস্টের পর থেকে ভূমি দখল, লুটতরাজ, এবং কিডনাপের মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে আবু তৈয়ব চৌধুরীর বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের দোসর হয়ে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সাথে হাত মিলিয়ে এইসব কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে স্থানীয়দের অনুরোধ, আবু তৈয়ব চৌধুরীকে গ্রেফতার করে তার মোবাইল কল রেকর্ড ও অন্যান্য কার্যকলাপের তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যাতে তিনি আর কোনো নিরপরাধ পরিবারের ওপর নির্যাতন চালাতে না পারেন।
ঈদগাহ উপজেলার অপরাধী কার্যকলাপে মদদদাতা হিসেবে পরিচিত এই ব্যক্তি যাতে আর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সম্মানিত না হয় এবং উপজেলার পরিবেশ নষ্ট না করে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আমি কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সুদৃষ্টি কামনা করছি, যাতে আবু তৈয়ব চৌধুরীর অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধ হয় এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।