টেকনাফে যুগান্তর পত্রিকার টেকনাফ প্রতিনিধি মো. নাছির উদ্দিনের (৩০) ওপর তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ৬টার সময় টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড লেদা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলো- হ্নীলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড লেদা এলাকার লাল মিয়ার ছেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি মো. জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগিরা।
আহত মো. নাসির উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির সংলগ্ন হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা বাজার এলাকার সংবাদ সংগ্রহে গেলে সেখানে আগেই থেকে অবস্থান করা মাদক কারবারি জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে আমার ওপর হামলা চালায় ও ব্যাপক মারধর করে। এক পর্যায়ে আমি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যাই। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমার মাথায়, বাম হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্থানে গুরুতর জখম করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যুগান্তর পত্রিকায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ‘শূন্য থেকে কোটিপতি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশ হওয়া পর দুদক তার বিরুদ্ধে সম্পদের হিসাব চেয়ে মামলা দায়ের করেন। সেই সূত্র ধরে, আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালিয়েছে। নিউজটি অফিস থেকে ছাপানো হয়েছিল। আমার ওপরে দোষ চাপিয়ে হামলা করেছে। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করব এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খানে আলম বলেন, সন্ধ্যার পরে মাথা ফাটা অবস্থায় সাংবাদিক নাসির উদ্দিনকে হাসপাতালে আনা হয়। হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তি জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি মোবাইলফোন রিসিভ করেননি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে সাংবাদিকের ওপর এ হামলার ঘটনায় ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।