ক্সবাজারের টেকনাফ শেষ সীমান্ত শাহপরীর দ্বীপ উপকূল সাগরের জোয়ারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জোয়ারের তীব্র স্রোতে পানি উঠছে লোকালয়ে। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে যাচ্ছে পশ্চিম বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশ। এতে দ্বীপের উপকূলের চল্লিশ হাজার মানুষ আতঙ্কের মধ্য রয়েছে। এই ভাঙন থেকে বসতবাড়ি রক্ষার দাবিতে ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে সাগরের পাড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন শাহপরীর দ্বীপবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান, সাবেক ইউপি সদস্য মো.ইসমাইল, নুরুল আমিন, সেনোয়ারা বেগম,মৌলভী জামাল উদ্দিন, মৌলভী মো. আবদুল্লাহ, ফজলুল হক ও রহতম উল্লাহ রানা প্রমুখ।
'সাগরের পানিতে ভাসতে চাইনা,নিরাপদে বাঁচার অধিকার চাই' লেখা হাতে পেষ্ঠুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয় বৃদ্ধ মো. মমতাজ মিয়া।
তিনি জানালেন,' সাগরের জোয়ারে তোড়ে দ্বীপের পশ্চিম পাড়ার বেড়িবাঁধ ভাঙান দেখা দিয়েছে। যার ফলে দ্বীপের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আতঙ্কের মধ্য রয়েছে। এভাবে বাঁধের ভাঙান অব্যাহত থাকলে উপকূলের মানুষের বসতি সাগরে তলিয়ে যাবে। তাই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কাছে দ্বীপবাসীর অনুরোধ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ভাঙান রোধে বাঁধ রক্ষায় সংস্কার করা হোক। অন্যতায় অতীতের মতো সাগরে তলিয়ে যাবে হাজারো মানুষের বসতবাড়ি।'
সাবেক মেম্বার মোঃ ইসমাইল বলেন, কোটি টাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কথা ছিল খুব টেকসইভাবে করার। টেকসই বেড়িবাঁধ না করার কারণে জোয়ারের পানির ধাক্কায় ব্লক ধসে যাচ্ছে।একশত ছয় কোটি টাকার বেড়িবাঁধ যদি দুর্বল হয়, তাইলে তারা টাকা নয় ছয় করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে নাই । আমাদের প্রাণের দাবি থাকবে যদি শাহপরীরদ্বীপ রক্ষা করতে চাই পূণরায় সংস্কার করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। নাইলে বাকি ৪০ হাজার মানুষের বসতি থাকবে না।
শাহপরীরদ্বীপ সাবেক মহিলা মেম্বার ছেনোয়ারা বেগম বলেন,একশত ছয় কোটি টাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণে আমাদের ৪০ হাজার মানুষের মনে স্বস্তি ছিল। এখন কিন্তু স্বস্তির চেয়ে আতঙ্কটা বেড়ে গেছে। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ার কারণে ব্লক ধসে গেছে এবং জোয়ারে পানি বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে শতাধিক বাড়ি ঘরে পানি ঢুকছে। বর্তমান সরকার প্রধানের কাছে আমাদের দাবি, বেড়িবাঁধ উঁচু করে নির্মাণ করতে হবে।
এদিকে, ২০১২সালের ২২জুলাই জোয়ারের তোড়ে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়ার বেড়িবাঁধের তিন কিলোমিটার সাগরে বিলিন হয়। পরে দীর্ঘ এক যুগ পর দেড়শ কোটি টাকায় নির্মান হলেও সম্প্রতি সময়ে ফের ভাঙান দেখা দিয়েছে। তবে অনিয়ম-দূর্নীতির কারনে বেড়িবাঁধ আবার ভাঙান ধরেছে। তাই সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাঁধ সংস্কারে দাবি দ্বীপবাসীর।