চট্টগ্রাম: নগরীর আবেদীন কলোনি থেকে নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূ দিলরুবা বেগম (পিপা)-এর বিবস্ত্র লাশ কর্ণফুলী থানাধীন কালারপুল খাল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর মামলা দায়ের নিয়ে কর্ণফুলী ও কোতোয়ালী থানার মধ্যে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ, দুই থানা একে অপরের কাছে মামলা দায়েরের পরামর্শ দিচ্ছে, যার ফলে বিপাকে পড়েছে তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে কর্ণফুলী কালারপুল ব্রিজের নিচে ভাসমান অবস্থায় দিলরুবার লাশ উদ্ধার করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ। ভিকটিমের স্বামী আবদুল আলিম কোতোয়ালী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন, তবে স্ত্রীর লাশ উদ্ধারের পর তার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে অভিযোগ তুলেছে ভিকটিমের পরিবার। তারা অভিযোগ করেছে, ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে স্বামী আলিম এমন আচরণ করছেন। ভিকটিমের মামা ইয়াকুব জানান, স্ত্রীর লাশ দেখতে মর্গে না গিয়ে স্বামী থানায় ঘোরাঘুরি করছে, যা সন্দেহজনক।
কর্ণফুলী থানার ওসি মনির হোসেন জানান, কালারপুল খালে একটি নারী লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এদিকে, কোতোয়ালী থানার ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ভিকটিমের স্বামী নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি কাজী মোঃ তারেক আজিজ জানান, দায়েরকৃত এজাহারের বক্তব্য অনুযায়ী মামলা কোন থানায় হবে, তা নির্ধারণ করা হবে। তবে যেহেতু নিখোঁজের জিডি কোতোয়ালী থানায় করা হয়েছিল, তাই সেখানেই মামলা দায়ের হতে পারে।
এ ঘটনায় পরবর্তী তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।