কক্সবাজার টেকনাফের থানারে শাহ পরীর দ্বীপ ৮নং ওয়ার্ড কোনার পাড়ায় শ্রমিক লীগের নেতা ছৈয়দ হোসেন (প্রকাশ মুইন্না) ৩০ বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ । ভুক্তভোগী বলেন আমার বাবার নামীয় দলিলের বসতবাড়ির চলাচলের রাস্তাটি দীর্ঘদীন থেকে দখল করে আসিতেছে। যার খতিয়ান নং - বিএস - ৪৯৫। ( মূল খতিয়ান ২২৯৪ ) দাগ নং - ৬৭১৭। যে রাস্তাটির প্রস্থ ছিল প্রায় ১০ফুট আজ তা দখল করতে করতে প্রায় ৫ ফুটে পরিণত হয়েছে।
এরি মধ্যে ছৈয়দ হোসনের দখলে আছে ৩ ফুট এবং কবির আহমদের দখলে আছে ২ ফুট ( যা সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপকৃত) এই ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অবিহিত করলে ০৩/১০/২০২৪ ইং তারিখে তিনি সাবরাং ০৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জনাব রেজাউল করিম রেজুকে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তের আদেশ দেন।
এতে ইউপি সদস্য এবং সরকারি সার্ভেয়ার গত ০৭/১০/২০২৪ ইং তারিখ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তাঁদের তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের কার্যালয়ে গত ১৫/১০/২০২৪ ইং তারিখে বিচার হলে উপরোক্ত বিবাদীগণকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ আদনান চৌধুরী মহোদয় ২২/১০/২০২৪ ইং তারিখের মধ্যে তাদের দখলকৃত রাস্তাটি দখলমুক্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন।
এতে বিবাদী দখলমুক্ত করে দেওয়ার জবানবন্দি দিয়ে আসেন। তৎমধ্যে কবির আহমদ ২ ফুট রাস্তার মধ্যে ১ ফুটেরও কম রাস্তার দখল ছাড়লেও ছৈয়দ হোসন ৩ ফুটের মধ্যে অদ্যাবধী কোনো রাস্তার দখল ছাড়েনি।
যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের আদেশ আমান্য কারার পর্যায়ে পড়ে। এ ব্যাপারে আমরা বিবাদীগণের সাথে কথা বললে তারা আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার ভয় দেখায়।
এ হুমকির ব্যাপারে বিগত ০৬/১০/২০২৪ ইং তারিখে অত্র টেকনাফ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছিল যার- জিডি ট্র্যাকিং নং - Q0B835, জিডি নং - ৩১৯।
উল্লেখ্য যে , উপরোক্ত বিবাদীগণের মধ্যে ১ নং বিবাদী ছৈয়দ হোসন প্রকাশ মুইন্না বাইট্টা আমার বাবার হত্যা মামলার ৩নং বিবাদী। যার মামলা নং- ( টেকনাফ মডেল থালা ৩৮ , তারিখ ০৯/১১/২০২১ খ্রিঃ , ধারা , ৩০২
এদিকে টেকনাফ মডেল থানায় ভুক্তভোগী একটি অভিযোগ করে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদী ভিকটিম সাংবাদিকের প্রতিবেশী হয়। বিবাদীর কে ভুক্তভোগী বাবার মামলায় আসামি করায় জের ধরিয়া বিভিন্ন সময় বিবাদী তার ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন প্রকার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয় মেরে লাশ গুম করে ফেলার কথা জানায়।
এমন পরিস্থিতিতে পুলিশের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাহিন আলম জানান, এখন আমি বাড়িতে যেতে পারছি না, জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কারণে। কিন্তু বিবাদি ঠিকই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বাধীনভাবে। এই যদি হয় আইন ব্যবস্থা, তাহলে কোথায় যাবো। জীবিত থেকেই যদি জীবনের নিরাপত্তা না পাই, তাহলে কি আমার বাবার মতন আমাকেও মেরে ফেললে জীবনের নিরাপত্তা দেবে। আমার বাবার হত্যার মামলায় আসামি করার কারণে প্রতিনিয়ত আমার মা কে এবং আমাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া জন্য হুমকি প্রদান করতেছেন।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্ত ছৈয়দ হোসেন ( প্রকাশ মুইন্না) সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।