সোমবার   ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪   ৯  পৌষ  ১৪৩১


বিগত ১৫ বছরে ব্যাংক খাতে লোপাট ৯২ হাজার কোটি টাকারও বেশী: সিপিডি

Admin user

Updated 23-Dec-23 /   |   Admin   Read : 46
সিপিডির ব্যাংক লোপাট প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক//

গত ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই সময়ের ১৫ বছরে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত থেকে লোপাট হয়েছে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। আজ শনিবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির কার্যালয়ে “বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪: চলমান সংকট ও করণীয়” শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এছাড়াও সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ঋণ, অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে ঋণ, অর্থ লোপাটসহ নানান ধরনের আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকে যে স্ক্যাম বা অনিয়মগুলো হয়, সেগুলো অফিশিয়াল সূত্রে পাওয়া যায় না। সেগুলো সংবাদ মাধ্যমে আসে। গণমাধ্যমকর্মীরা সেগুলো হয়তো অফিশিয়াল সূত্রেই আনেন। এগুলোকে কম্পাইল করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ২০০৮-২০২৩ সাল পর্যন্ত গণমাধ্যমে ২৪টি ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এসব ঘটনায় ৯২২.৬১ বিলিয়ন টাকা বা ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ বা অপচয় হয়েছে। এই পরিমাণ টাকা দিয়ে আমরা কী করতে পারতাম।

এ বিষয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যাংকিং খাত বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত পুঁজিবাদের (ক্রনি ক্যাপিটালিজম) দখলে চলে গেছে। এ ধরনের পূঁজিবাদিরা তাদের আর্থিক অভিজাততন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ব্যাংকিং          খাতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, এ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে, অপচয় হচ্ছে। ব্যাংকে যে টাকা, সেটি জনগণের টাকা। জনগণ তাদের টাকা গচ্ছিত রাখার নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব বিভিন্ন ব্যাংকসমূহ।

সেটা কীভাবে ব্যয় হচ্ছে তা চিন্তা-ভাবনার বিষয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকিং খাতে নিয়মকানুন বাস্তবায়ন ও সংস্কার একেবারেই জরুরি হয়ে পড়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনীতি অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যা কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, এমনকি নির্বাচনের পরেও না। নীতি নির্ধারকদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের উচ্চ পর্যায় থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি বন্ধে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন, যাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিয়ম অনুযায়ী   তাদের দায়-দায়িত্বের মধ্যে থেকে কাজ করতে পারেন।


ফাহমিদা খাতুনের মতে, শ্রম ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর বিধিনিষেধের শঙ্কা দূর করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর আরও কার্যকরী সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।