চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় নদীপথে পাচারের চেষ্টাকালে ১৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মানবপাচার চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে কর্ণফুলী নদীর শিকলবাহা শাহ আমানত সেতুর নিচ থেকে তাদের উদ্ধার ও গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় দুটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের বোট জব্দ করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা হলেন—নূর মোস্তফা (২৬), আছহাবুল হক (২২), মোঃ রিদুয়ান (২০), মোঃ নাইম (২৭), মোঃ বেলাল (৪৬), রৌশন আলী (১৯), আব্দুল আলিম (২০), মোঃ হাশেম (৩০), আবুল হোসেন (৩৫), আব্দুল হামিদ (৩৫), সাব্বির আহমদ (২৯), হামিদ হোসেন (২৫), মোঃ জোবায়ের (২৩), আব্দুল মজিদ (৩৩), আব্দুর শুকুর (৪২), সৈয়দ হোসেন (৫৫) এবং মোঃ করিম (৩০)। তারা সবাই টেকনাফ মৌছনী রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তারকৃত পাচারকারীরা হলেন—মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়ার ধলা মিয়ার ছেলে ফজল করিম ওরফে ফুতু মাঝি (৪৭), উখিয়া জালিয়াপালংয়ের মাহবুবুল আলমের ছেলে এনামুল করিম রাজিব (৩৭) এবং কক্সবাজার সদরের মৃত উলা মিয়ার ছেলে গোলাম হোসেন (৪০)।
কর্ণফুলী থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, রোহিঙ্গাদের পাচারের খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের বিশেষ দল কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর নিচে অভিযান চালিয়ে দুটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের বোট থেকে ১৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে। এ সময় মানবপাচার চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের থানায় এনে মামলার প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।