সোমবার   ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪   ৮  পৌষ  ১৪৩১


আত্রাইকে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে চান ওসি সাহাবুদ্দীন

মোঃ আরাফাত আলী

Updated 24-Dec-03 /   |   নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি   Read : 41

নওগাঁর আত্রাই উপজেলাকে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে চান আত্রাই থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাবুদ্দীন। তিনি যোগদানের পর থেকে পুলিশের ভেঙ্গেপরা মনোবল বৃদ্ধি ও জনগনের জান মাল রক্ষার্থে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর আত্রাই থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসাবে যোগদান করেন সাহাবুদ্দীন। যোগদানের পর সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশিল সমাজের প্রতিনিধির সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে পুলিশের ভেঙ্গেপড়া মনোবল বৃদ্ধি, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, বাল্যবিয়ে, চোরাচালান ও দখলদারিত্ব মুক্ত উপজেলা গড়নে তাঁর উদ্যোগের কথা তুলে ধরে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সরেজমিনে জানা য়ায়, মানুষ প্রতিনিয়ত নানান সমস্যা নিয়ে থানায় হাজির হয়ে সন্তুষ্ট মনে ফিরে যাচ্ছেন। তবে মানুষের সমস্যাগুলোর মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বেশি সমস্যা পরিলক্ষিত হচ্ছে। কথা হয় জমিজমা সংক্রান্ত জটিলতায় ভুক্তভোগী জরিনা বেওয়ার সাথে। তিনি জানান, অনেক দিন হলো বাড়ীর সীমানা নিয়ে প্রতিবেশির সাথে ঝামেলা চলছিলো ওসি সেটার সমাধান করে দিলেন। কোন টাকা-পয়সা লাগলো কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে জরিনা বেওয়া জানান, টাকা-পয়সা তো লাগলোই না বরং ওসি হামাক চা খাওয়ালো।

মনিয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সম্রাট হোসেন বলেন, আত্রাই থানায় ওসির যোগদানের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। তিনি হাঁসিমুখে মানুষের সমস্যার কথা শুনে আইনের মধ্যে থেকে তা সমাধান করে দেওয়ায় তাঁর কার্যক্রমে মানুষ সন্তুষ্টি বোধ করছেন।

পাঁচুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খবিরুল ইসলাম বলেন, ওসি সাহাবুদ্দীন যোগদান করার পর আমাদের সাথে মতবিনিময় করে তাঁর নেওয়া কিছু উদ্যোগের কথা বলেছিলেন। আমরা লক্ষ করছি সেগুলো নিয়ে তিনি কাজ করছেন। এতে করে মানুষ আইনভঙ্গের প্রবণতা থেকে বের হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হচ্ছেন।

আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাবুদ্দীন বলেন, পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন স্যারের দিক নির্দেশনায় ৫ আগষ্ট পরবর্তী আত্রাইয়ে পুলিশের মনোবল ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। রাতে পুলিশি টহল ও দিনে কঠোর নজরদারির ফলে আইনশৃঙখলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধির সার্বিক সহায়তায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও চোরাচালান রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। মানুষকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করতে এবং তাদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।