চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষ, ২৯ জনের নামে মামলা নতুন ৪০-৫০ জনের নাম,
চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনাকে ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালী থানায় এ মামলা করেন। চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘাতের ঘটনায় পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগে তিনটি, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে।
নতুন এ মামলার আসামিরা হলেন— চসিকের ৩২ নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারী (৪৫), ২১ নং জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন (৪৫), যুব মহিলা লীগ নেত্রী জিন্নাত সোহানা চৌধুরী (৪২), প্রবীর চন্দ্র পাল (৩০), ছাত্রলীগ নেতা শুভ কান্তি দাশ (২৬), মিঠুন (৩০), বিজয় (৩০), সমীর কান্তি দে (৪৫), অন্ত (২৮), ওমর দাশ (২৯), রুবেল সরকার (৩৪), সুজন সরকার (৩৬), রিপন কান্তি নাথ (৩৫), মোতালেব (৫২), মো. নান্নু মিয়া ওরফে পানি নান্নু (৪৮), মো. আফাং মিয়া (৫০), সাদমান ফুয়াদ (২৭), আব্দুল কাইয়ুম নিজামী (৫৩), কাজী তানভির (২৫), জাহিদ হাসান (৩০), শাহাদাত আহমেদ রিফাত (২১), আবেদীন আল মামুন (৪২), মো. মুরাদ (৪০), মানস চৌধুরী সংগ্রাম (৪০), মো. রফিক (৫০), মো. ইমরান (২৫), মোল্লা আজগর আলী (৪৫), সাইমুল হক কাজেমী (৩৬) ও মো. শাহজাহানসহ ৪০ থেকে ৫০ জন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি আব্দুল করিম জানান, মামলার এজাহারে ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন মামলা করেন। ওই মামলায় ৩১ জনসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া গত ২৭ নভেম্বর ওই ঘটনায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ প্রায় দেড় হাজার জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করে। নিহত আলিফের ভাইও একটি মামলা করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ঢাকা থেকে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাঁকে চট্টগ্রামের একটি আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন চিন্ময় ব্রহ্মচারীর অনুসারীরা। টানা কয়েক ঘণ্টার বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে বিকেলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং স্থানীয় কয়েকজনের করা ভিডিও ফুটেজে হত্যার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।