কক্সবাজারে ইয়াবা সম্রাট মিনহাজের নেতৃত্বে সাংবাদিক কে হুমকি ও হত্যা চেষ্ঠা
কক্সবাজারের আলোচিত ইয়াবা কারবারি মিনহাজের রাজকীয় জীবনযাপন নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সাংবাদিক আবির হোসেন সানের জীবনে নেমে এসেছে ভয়াবহ এক আতঙ্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে ইয়াবা সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে পরিচিত মিনহাজ ও তার বাহিনী সাংবাদিক আবিরের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলার চেষ্টা চালায়।
প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবির হোসেন সান জানান, সংবাদ প্রকাশের কয়েকদিন পর মিনহাজের লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে তাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। শুধু হুমকিই নয়, তার গতিবিধি নজরে রেখে চূড়ান্ত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসবের পেছনে রয়েছে স্থানীয় একদল প্রভাবশালী মাদক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, যারা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পার পেয়ে যাচ্ছে।
আবির বলেন, “যে সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, তা যদি আমার জীবনের জন্য হুমকি হয়—তাহলে একজন সাংবাদিকের কাজ করা কতটা কঠিন, তা সহজেই অনুমেয়। আমি এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করছি এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া: 'এটা শুধু একজন সাংবাদিক নয়, পুরো সমাজের ওপর আঘাত'
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আবির একজন সৎ, নম্র ও দায়িত্বশীল ছেলে। সে এলাকার গর্ব। তার ওপর এমন হামলা শুধু ব্যক্তি আক্রমণ নয়, পুরো সমাজ ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানানো। এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, “মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে যারা সাহস করে মুখ খোলে, তাদের যদি এভাবে দমন করা হয়—তাহলে ভবিষ্যতে কেউ আর কলম ধরবে না।”
সাংবাদিক সমাজের উদ্বেগ
কক্সবাজারের সাংবাদিক সমাজ এ ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, একজন সংবাদকর্মী যদি নিরাপদ না থাকেন, তাহলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে। অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
প্রশাসনের ভূমিকা প্রত্যাশিত
এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সাংবাদিক আবির প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখে জানিয়েছেন, “আমি বিশ্বাস করি, প্রশাসন দ্রুত সময়ের মধ্যেই হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবে।”
মাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় অভিযান ও জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন করতে হলে এই ধরনের চিহ্নিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি—এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।