কুয়েত প্রবাসীদের সমস্যা নিয়ে ভাবে না কেউ: মধ্যপ্রাচ্যের যে কয়টি দেশে বাংলাদেশের শ্রমিকরা সফল ভাবে কাজ করছে তার মধ্যে কুয়েত অন্যতম প্রধান । রেমিটেন্স প্রেরণেও কুয়েত প্রবাসীরা শীর্ষ কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম প্রধান । প্রায় তিন লক্ষ বাংলাদেশী কুয়েতের সরকারি বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সহিত কাজ করছে। কিন্তু ইদানিং করনা পরিস্থিতির কারনে কুয়েত প্রবাসীরা নানা ধরনের জটিলতায় ভূকছে। যেমন কুয়েত ফেরত প্রবাসীরা কুয়েতে আসতে পারছে না, কারন কুয়েত সরকার ভ্যাকসিন না দেওয়া কোন ব্যক্তি কে কুয়েত প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। এ দিকে কুয়েতে পাসপোর্টের মেয়াদ নূন্যতম এক বছর না থাকলে ভিষা রিনিও করা যায় না, এ জন্য হাজার হাজার লোক নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে । কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস নূন্যতম তিন মাস সময় নেয় পাসপোর্ট রিনিও করতে, তা আবার যথা সময়ে আসে না এবং দূতাবাসে জনবল সংকটের কারনে ডেলিভারি দিতে পারে না। যেখানে ইন্ডিয়া পাসপোর্ট রিনিও করতে পাঁচ দিন সময় নেয়, অন্য দেশ গুলোও সল্পসময়ে পাসপোর্ট করে দেয় । এমতাবস্থায় সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে কুয়েত প্রবাসীদের আকুল আবেদন, যারা দেশে আটকা পরেছে তাদের কুয়েত সরকার অনুমোদিত ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক এবং অনতিবিলম্বে পাসপোর্ট সমস্যার সমাধান করা হোক। শ্রম বাজার ধরে রাখতে হলে অবশ্যই প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে সরকার কে এগিয়ে আসতে হবে।