একটি পরিবার, একটি ইতিহাস
রাজনৈতিক ও ভৌগলিক ভাবে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা টাঙ্গাইল । টাঙ্গাইল জেলায় তের টি উপজেলা নিয়ে আটটি সংসদীয় আসন। ভূয়াপুর গোপালপুর উপজেলা নিয়ে টাঙ্গাইল ২ আসন।
তারাকান্দি-ভূঞাপুর সড়ক সংলগ্ন গোলপেঁচা গ্রামে জন্মগ্রহণ করে আট ভাইয়ের এক রাজনৈতিক পরিবারের । আট ভাইয়ের সবাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তার মধ্যে আব্দুস ছালাম পিন্টু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শামছুল আলম তোফা বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিচিত, অন্য ভাইয়েরা স্থানীয় ভাবে রাজনীতি ও অন্য পেশায় জরিত।
আব্দুস ছালাম পিন্টুঃ
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তীতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান । ২০০১ সালে বিএনপি থেকে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়। এমপি হয়ে প্রথমে শিক্ষা উপমন্ত্রী পরে অন্য দফতরের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন আব্দুস সালাম পিন্টু। ক্ষমতার পরিবর্তন হলে আব্দুস ছালাম পিন্টুর বিরুদ্ধে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামী করে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় এবং ঐ মামলায় মৃত্যু দন্ডের আদেশ দেন আদালত। এখন পর্যন্ত রায় কার্যকর করেনি সরকার । জেলের কনডেম সেলে তার জীবন কাটছে। ব্যাক্তিগত ভাবে তিনি একজন আইনজীবী ।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকুঃ
মেধাবী ছাত্র সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভর্তি হয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্ত্বরে বেড়ে উঠা টুকু বাংলাদেশ জাতীয় তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন । সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করায় পরবর্তীতে যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ।
ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত । বিরোধী দলের রাজনীতি করার কারনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন স্থানে হামলার শিকার হন । বর্তমানে তিনশত এর অধিক মামলা মাথায় নিয়ে কখনো জেলে কখনো জাবিনে থেকে রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। নম্র স্বভাবের কারনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থাভাজন । টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে টাঙ্গাইলের স্থানীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে । তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ।
শামছুল আলম তোফাঃ
ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের রাজনীতি করে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জিএস নির্বাচিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে এক জনের মৃত্যু হলে তার যাবত জীবন কারাদণ্ড হয়। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়। টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছে। রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একশোরও বেশি মামলার আসামি, বর্তমানে কানাডা প্রবাসী ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলে থাকেন বাংলাদেশে জিয়া পরিবারের পরে পিন্টু-টুকুদের পরিবার রাজনৈতিক ভাবে বেশি নির্যাতিত।