রবিবার   ডিসেম্বর ২২ ২০২৪   ৮  পৌষ  ১৪৩১


ইসকন নিয়ে বিতর্ক: বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ

Mohammad Obaidullah Chowdhury

Updated 24-Nov-27 /   |   চট্রগ্রাম জেলা প্রতিনিধি   Read : 78
ছবি
ছবি

ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনশাসনেস) একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, যা ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি মূলত একটি ধর্মীয় এনজিও, যার কার্যক্রম ও আদর্শ নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক রয়েছে। সংগঠনটি মূল সনাতন হিন্দু ধর্মের বেশকিছু মৌলিক বিশ্বাস অস্বীকার করে এবং নিজস্ব কনসেপ্ট চাপিয়ে দেয়।

ইসকনের বিতর্কিত কার্যক্রম

বাংলাদেশে ইসকনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো হলো:

  1. স্বামীবাগ তারাবীর নামাজে বাধা (২০১৪): ইসকনের সদস্যদের দ্বারা সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন।
  2. মসজিদে হামলা (২০১৬): সিলেটের ইসকন মন্দির থেকে মসজিদের মুসল্লিদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে।
  3. জাতীয় পতাকা অবমাননা (২০২৪): সম্প্রতি চট্টগ্রামের লালদিঘীর সমাবেশে ইসকনের কর্মীরা জাতীয় পতাকার স্থানে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করে, যা ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস: বিতর্কিত নেতা

ইসকনের সাবেক সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বিভিন্ন বিতর্কে জড়িত। তিনি ইসকনের আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার জন্য বহিষ্কৃত হন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ইসকন থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরোধীদের হুমকি দেন।

বাংলাদেশে নিষিদ্ধকরণের দাবি

ইসকন বর্তমানে বাংলাদেশে একাধিক মন্দির পরিচালনা করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন হিন্দু নেতা ও সংগঠন ইতোমধ্যে ইসকনের কর্মকাণ্ডকে উগ্রবাদী ও সাম্প্রদায়িক বলে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে ইসকনের মতো বিতর্কিত সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।