সোমবার   ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪   ৮  পৌষ  ১৪৩১


আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে

MD. Sayem Uddin

Updated 24-Dec-07 /   |   স্টাফ রিপোর্টর   Read : 34
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আজ শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আজ শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভারতের রপ্তানি বাণিজ্যের অন্যতম গন্তব্য বাংলাদেশ মন্তব্য করে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ভারত কোনো কিছু বিনা পয়সায় দেয় না। তারা যদি বন্ধ করে দেয়, আমি তো বলি বন্ধ করুক। গরু তো বন্ধ করেছিল। আমরা এখন গরুর মাংস খাই না। বন্ধ যদি ওনারা করতে চায়, ওনাদের ব্যাপার। ওনারা বন্ধ করলে ওনাদের ইকোনমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটার সঙ্গে দুই পাশের হাজার হাজার, লাখ লাখ লোক জড়িত। পলিটিকস ওনারা করছেন। কিন্তু আমি মনে করি না ব্যবসায়ীরা কখনো এটা সাপোর্ট করবেন। এত বড় একটা বাজার, সেই বাজারকে নষ্ট করবেন। এক দিন, দুই দিন অবরোধ আমরাও করি মাঝেমধ্যে। পলিটিক্যাল অবরোধ করছে করুক। এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। কারণ, ওনাদের বেশি গরজ আমাদের চেয়ে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের ৫০ বছরে কিংবা ৫২ বছরে আপনারা কখনো শুনেছেন সব পলিটিক্যাল পার্টি এক জায়গায় বসে কথা বলেছে? আপনারা শোনেন নাই। আমার বয়স বেশি হয়েছে, আমিও শুনি নাই। আমরা সব সময় বলেছি জাতীয় যেকোনো সংকটকালে একটা পথ নির্ধারণ করতে হবে। সেটা করতে হবে সব দল মিলে। আজ হোক, কাল হোক আর পরশু হোক, রাজনীতিবিদেরা দেশ চালাবেন। সে জায়গাতে যদি রাজনীতিবিদদের মধ্যে ঐকমত্য না হয়, তাহলে জাতীয় যে পথ নির্ধারণ করার কথা, সেটা তখন এলোমেলো হয়ে যায়। একদল একরকম বললে, আরেক দল অপোজ করবে। এখন যেহেতু সব একত্রে বসেছেন। এটা খুব বড় অর্জন, এটা একটা উদাহরণ।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এম সাখাওয়াত হোসেন যশোর সার্কিট হাউস থেকে সড়কপথে ভোমরা স্থলবন্দরে পৌঁছান। এরপর তিনি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী পারাপার, কাস্টমস কার্যক্রম ও স্থলবন্দরে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বন্দরের সম্মেলনকক্ষে ভোমরা স্থলবন্দর অংশীজনদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান। এতে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ভোমরা স্থলবন্দর আমদানি–রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম, ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজিবির খুলনা অঞ্চলের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল কবীর হোসেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সজীব খান প্রমুখ।

সভায় এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দুই বছরের মধ্যে ভোমরা বন্দরে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। বন্দরের অবকাঠামোর উন্নয়ন হবে। সে লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।