সোমবার   ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪   ৮  পৌষ  ১৪৩১


মিলাররা সরকারের সাথে চুক্তিতে না আসায় রানীনগরে খাদ্যগুদামে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কা

মোঃ আরাফাত আলী

Updated 24-Dec-14 /   |   নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি   Read : 29

নওগাঁর রাণীনগরে অভ্যন্তরীণ আমন মৌসুমে খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহে সরকারের সাথে চুক্তিতে আসেনি অর্ধেকের বেশি মিলার। ফলে উপজেলায় এবার আমন মৌসুমের চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা খাদ্য বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের গাফিতালি ও তদারকির অভাবে উপজেলার ৬৯ জন মিলারের মধ্যে মাত্র ৩৩ জন মিলার খাদ্যগুদামে চাল দিবেন বলে চুক্তি করেছেন। আর সরকারের সাথে চুক্তিতে আসেনি ৩৬ জন মিলার।

উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় আমন মৌসুমে ৪৭ টাকা কেজি দরে মিলারদের নিকট থেকে ১২৬৯ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যে উপজেলার ৬৯ জন মিলারদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩৩ জন মিলার ৮১২ মেট্রিক টন চাল খাদ্যগুদামে সরবরাহ করার জন্য চুক্তি করেছে। গত ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের দিন থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ মিলারদের কাছ থেকে এখনো এক ছটাকও চাল সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্যবিভাগ। আরও জানা গেছে, উপজেলা জুড়ে ১০০টির উপরে মিল ছিল। এসব মিলের মধ্যে কমতে কমতে বর্তমানে ৬৯টি মিলে এসে দাঁড়িয়েছে।

উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোছা.তারানা আফরীন বলেন, চুক্তিবদ্ধ মিলারদেরকে আমরা চাল দিতে বলেছি। এখন পর্যন্ত খাদ্যগুদামে কেউ চাল দেননি। আমরা সংগ্রহের চেষ্টা করছি।

 

উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোসাদ্দেক খাঁন বাবলু বলেন, বাজারে ধানের দাম বেশি। এতে করে চাল উৎপাদনে সরকারি দরের চেয়েও বেশি দর পড়ছে। তাই লোকসানের কথা চিন্তা করে অনেকেই চুক্তিতে আসেনি। আর চুক্তিবদ্ধ মিলারদের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করছি নির্ধারিত সময়ে খাদ্যগুদামে চাল দিতে।

 

এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমরা চুক্তিবদ্ধ মিলারদেরকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাদ্যগুদামে চাল দিতে তাগিদ দিয়েছি। এ মৌসুমে অর্ধেকের বেশি মিলার চুক্তিতে আসেনি। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের চুক্তিতে নিয়ে আসার। কিন্তু তারা চুক্তি করেননি। এতে করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। 

 

তিনি আরও বলেন, যেসব মিলার সরকারের সাথে চুক্তিতে আসেনি, তাদের মিলের খোঁজ খবর আমরা সার্বক্ষণিক রাখছি। খাদ্যগুদামে চাল না দিয়ে তারা যদি মিল চালায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।