দূর্নীতি মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান
-------------ছবি-সংগৃহীত
ঢাকা, ২৮ মে ২০২৫ –
দীর্ঘদিন ধরে চলা দুর্নীতি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ উচ্চ আদালতের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন।
২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই মামলাটি দায়ের করে, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল যে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন এবং মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও সময়ক্ষেপণের পর আদালত রায়ে উল্লেখ করেন যে, অভিযোগ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে দুদক।
আদালত বলেন, “ন্যায়বিচারের স্বার্থে যথাযথ প্রমাণ ছাড়া কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না।” একই সঙ্গে দীর্ঘসূত্রিতা ও বিচারপ্রক্রিয়ার বিলম্ব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন আদালত।
রায় ঘোষণার পর বিএনপির পক্ষ থেকে একে "ন্যায়বিচারের বিজয়" হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমরা আগেই বলে আসছি, এই মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আজকের রায়ে সেই সত্যই প্রমাণিত হয়েছে।”
এদিকে, মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি দুর্নীতি দমন কমিশন।
উল্লেখ্য, তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন এবং তার বিরুদ্ধে অন্য কয়েকটি মামলারও রায় হয়েছে অনুপস্থিত অবস্থায়। ডা. জোবাইদা রহমান একজন চিকিৎসক, এবং রাজনীতিতে ততটা সক্রিয় না হলেও এই মামলার কারণে তিনি বহুদিন ধরে সীমাবদ্ধতার মধ্যে ছিলেন।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে, বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হতে পারে।
২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই মামলাটি ছিল সবচেয়ে আলোচিত দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপগুলোর একটি। আজকের রায়ের মাধ্যমে সেই অধ্যায়ের অবসান ঘটল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আরো সংবাদ
