বুধবার   এপ্রিল ৩০ ২০২৫   ১৬  বৈশাখ  ১৪৩২


ভাইভা দিতে গিয়ে লাঞ্ছিত শিক্ষিকা, অভিযোগ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

Romjan Ali

Updated 25-Apr-28 /   |   বান্দরবন সদর (বান্দরবন) উপজেলা প্রতিনিধি   Read : 159
ভাইভা দিতে গিয়ে  লাঞ্ছিত শিক্ষিকা, অভিযোগ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

 

মো: রমজান আলী, বান্দরবান প্রতিনিধি 

বান্দরবান প্রাথমিক শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের ভাইভা পরীক্ষায় নেকাব পরায় এক শিক্ষিকাকে লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খানের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৮ এপ্রিল)  বান্দরবান শহরের রেইচা এলাকার প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে (পিটিটিসি) এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, লামা উপজেলার রুপসী পাড়া চিমকুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাশরুফা পরীক্ষার শেষ দিনে নেকাব পরে ভাইভায় অংশ নেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ভাইভা বোর্ডের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন খান নেকাব পরার কারণে তাকে বিভিন্ন মন্তব্য করে অপমান করেন। পরীক্ষা শেষে মাশরুফা বিষয়টি তার ছোট ভাইকে জানালে তিনি তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। দ্রুত পোস্টটি ভাইরাল হয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

লাঞ্ছনার বিষয়ে শিক্ষিকা মাশরুফা জানান, “আমি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সবসময় পর্দা করি। ভাইভা পরীক্ষায়ও তাই নেকাব পরে গিয়েছিলাম। স্যার প্রশ্ন করেন, এত পর্দা করে কেন শিক্ষক হতে এসেছি। তিনি বলেন, নেকাব পরে কোনো পাপ মোচন হবে না এবং জানান, এ ধরনের কারণে তিনি এর আগে একজনকে সাসপেন্ড করেছেন।” অসুস্থ বোধ করায় মাশরুফা আর কথা না বাড়িয়ে পরীক্ষাকক্ষ ত্যাগ করেন।

অন্যদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি শুধু জানতে চেয়েছিলাম নেকাব পরে আসায় তাকে সঠিকভাবে চেনা যাচ্ছে না। কারণ, অনেকে ভাইভায় প্রক্সি দেয়। আমি আর কোনো মন্তব্য করিনি।”

প্রসঙ্গত, গত ১০ ফেব্রুয়ারি জামালপুর থেকে বদলি হয়ে বান্দরবানে যোগদান করেন মোফাজ্জল হোসেন খান। তবে তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান প্রথমে তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালেও জেলা প্রশাসকের অনুরোধে পরে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।