বুধবার   অক্টোবর ২৯ ২০২৫   ১৩  কার্তিক  ১৪৩২


নওগাঁয় থানা হেফাজতে থাকা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আরও চার পুলিশ প্রত্যাহার

মোঃ আরাফাত আলী

Updated 25-Jun-22 /   |   নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি   Read : 79

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:

 

নওগাঁর ধামইরহাট থানায় রক্ষিত এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আরও চার পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

 

রোববার (২২শে জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পত্নীতলা সার্কেল) শরিফুল ইসলাম।

 

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- ওসি আব্দুল মালেক, কনস্টেবল রেজুয়ানুর রহমান, আতিকুর রহমান ও মেহেদী হাসান। এর আগে এসআই জাকিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল ইকবাল হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে ছয় পুলিশ সদস্যকে থানা থেকে সরিয়ে নওগাঁ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

 

এএসপি শরিফুল ইসলাম জানান, আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কয়েকটি বাক্স থানার মালখানায় রাখার কথা থাকলেও তা ভুলক্রমে হাজতঘরে রাখা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার রাতে মাদক মামলায় আটক এক আসামি হাজতে থাকা অবস্থায় ট্রাংকের সিলগালা ভেঙে তালা খুলে ফেলেন এবং ভেতরের প্রশ্নপত্র ছিঁড়ে ফেলেন ও ছড়িয়ে দেন।

 

পরদিন বিষয়টি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নজরে আসার পর তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু হয়। এরপর গাফিলতির অভিযোগে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয় এবং ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই আসামির বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ বিনষ্টের অভিযোগে নতুন একটি মামলাও করা হয়েছে এবং তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

এ ঘটনায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আ.ন.ম মোফাখখারুল ইসলাম জানান, ধামইরহাট থানায় নষ্ট হওয়া ইতিহাস দ্বিতীয় পত্রের সেট বাতিল করা হয়েছে। আগামী ১৯ জুলাই রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ঐ বিষয়ের পরীক্ষা বিকল্প প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হবে।

 

নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া আফরিন জানান, প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে মোট ৫০টি কপি ছিল। সবগুলোই উদ্ধার করা হয়েছে, তবে কয়েকটি ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া যায়। কোনো প্রশ্নপত্র নিখোঁজ হয়নি বলে জানান তিনি।

 

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, পাশাপাশি প্রশ্নপত্র সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানাচ্ছেন সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।