কুড়িগ্রামে ধর্মীয় নেতা ও সমাজসেবক ফেরদৌস হাসান কুড়িগ্রামীর বাড়িতে গভীর রাতে পুলিশি অভিযানের ঘটনায় নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
অভিযোগ রয়েছে, ওই রাতে পুলিশের সহায়তায় একজন অপরিচিত নারীকে ফেরদৌস হাসান কুড়িগ্রামীর রুমে ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে ভুয়া মামলায় ফাঁসানোরও চেষ্টা করা হয়। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী ফেরদৌস হাসান কুড়িগ্রামী তার ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত এক ভিডিও বিবৃতিতে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানান।
এরই মধ্যে ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজন, এস আই নির্মল কুমার রায়, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত এস আই নির্মলের গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলায়।
এর আগে রাত আনুমানিক ২:৪০ মিনিটে ফেরদৌস হাসানের বাড়ির বাউন্ডারি ভেঙে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও অপরিচিত যুবক প্রবেশ করে। অভিযোগ রয়েছে, তারা পর্দাশীল পরিবারের নারী সদস্যদের সামনে গিয়ে গুরুতর পর্দাহানি ঘটায়। বৃদ্ধা মা (৮০+), শিশু কন্যা ও মাদ্রাসার শিক্ষিকারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। সচেতন মহল বলছে, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত না হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা চরমভাবে হুমকির মুখে পড়বে।