নওগাঁর রানীনগরে অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন।
নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষকে মারপিটের ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদকে অসত্য বলে দাবি করেন এই নেতা।
লিখিত বক্তব্যে মোসারব হোসেন বলেন, ‘গত শনিবার রানীনগর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে প্রত্যক্ষ ভোটে এছাহাক আলী সভাপতি ও আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। সেই সম্মেলনে ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও জাল ভোট দেন উপজেলার আবাদপুকুর কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মালেক ওরফে নবাব। তাঁর ভোট দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ভোটপ্রক্রিয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সম্মেলনের পরদিন উপজেলার সিলমাদার এলাকায় রাস্তায় অধ্যক্ষ আবদুল মালেকের সঙ্গে আমার দেখা হয়। এ সময় জাল ভোট দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি আমার ওপর রাগান্বিত হয়। আমার সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও তাঁর কথা–কাটাকাটি হয়। সেখানে মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমার বিরুদ্ধে আবদুল মালেককে পেটানোর অভিযোগ তুলে একাধিক অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে যেভাবে ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তা অসত্য, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এমন অসত্য সংবাদ প্রকাশের ফলে আমার ও বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
গত রোববার ‘উপজেলা বিএনপির সম্পাদক হওয়ার পরদিনই কলেজ অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ কয়েকটি অনলাইন ও পত্রিকায় প্রকাশ হয়। এ অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেন মোসারব হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে রানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এছাহাক আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক, সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।