কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ধানক্ষেত দেখে বাড়ি ফেরার পথে এক সাংবাদিকের পিতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম আঞ্জুকে দুষ্কৃতিকারীরা মারধর করে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাত্রখাতা খন্দকারপাড়া এলাকায় এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে চিলমারী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা খন্দকারপাড়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম আঞ্জুর সঙ্গে প্রতিবেশী হামিদুল ইসলামের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরেই রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ধানক্ষেত দেখে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন তিনি।
হামলার সময় হামিদুল ইসলামের স্ত্রী হেলেনা বেগম (৪২), তার ছেলে হিমেল মিয়া (২২) ও রিয়াদ মিয়া (২০) মিলে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, পাইপ এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে রেজাউল ইসলামের পথরোধ করেন। তারা তাকে বেধড়ক মারধর করেন, যার ফলে তার বাম হাতের দুই জায়গায়, ডান পায়ের হাঁটুর নিচে এবং ডান হাতের আঙুল ভেঙে যায়। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়েছে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চিলমারী হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় রেজাউল ইসলামের ছেলে ও সাংবাদিক ফয়সাল হক রকি চিলমারী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুস সাকিব সজীব জানান, অভিযোগ পেয়েছেন এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।