নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় ফিল্মি কায়দায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুই ভাই ইমদাদুল (২৭) ও রশিদের (২৯) বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভুক্তভোগী মতিউর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালিয়ে লাশ গুমের পরিকল্পনা করেছিল তারা।
ভুক্তভোগী মতিউর রহমান জানান, প্রতিদিনের মতো তিনি দোকানে চা খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে হঠাৎ পেছন থেকে ইমদাদুল ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ইমদাদুল তার বুকে কিল, ঘুষি, ও লাথি মারতে থাকে। এসময় রশিদ তার পা ধরে রাস্তার পাশে জমে থাকা কচুরিপানার মধ্যে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, সেখানে নিয়ে তাকে পানিতে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। তবে এসময় গ্রামের সমীরউদ্দিন চাচা দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। সমীরউদ্দিনের ডাকে সাড়া দিয়ে গ্রামবাসীরা ছুটে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসীরা গুরুতর আহত অবস্থায় মতিউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সমীরউদ্দিন জানান, তিনি রাত ১০টার দিকে চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ইমদাদুল ও রশিদকে মতিউরকে পানিতে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করতে দেখেন। তাদের বাধা দিলে তারা হুমকি দেয়। পরে গ্রামবাসীকে খবর দিলে সবাই মিলে মতিউরকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রামবাসীরা জানান, অভিযুক্ত ইমদাদুল আগেও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
অভিযুক্ত ইমদাদুল মুঠোফোনে সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে জানান, মতিউর তার পারিবারিক জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করেছেন। তবে তিনি মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেননি বলে দাবি করেছেন।
নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।