বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ দলের ৯ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বাগেরহাট বিজ্ঞ জুডিসিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালত। একটি মারামারি মামলায় রবিবার তারা আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন।
স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানুষকে অনেক নির্যাতন নিপীড়ন করে এবং বিরোধী দলীয় কর্মীদের উপরে অনেক অত্যাচার করে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনটি পৃথকভাবে মামলা হয় আদালতে।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারে একটি মারামারির ঘটনায় উপজেলার উত্তর সাউথখালী গ্রামের মোঃ এমাদুল হকের পুত্র জামায়াত ইসলামী নেতা মোঃ আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে শরণখোলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলনসহ ১৪ জন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গত ১৯ নভেম্বর বাগেরহাট জুডিসিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য অফিসার ইনচার্জ শরণখোলা থানাকে নির্দেশ দেন।
ঐ মামলায় ৯ জন আসামী রবিবার সকালে বাগেরহাট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, রায়েন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ রুমি,আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন মুন্সি, হেলাল হোসেন তালুকদার, খায়রুল হোসেন শরীফ, শামিম হোসেন, আজমল হোসেন, সোহেল হোসেন।