নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর বাজারে ৮টি বাড়ি ও ২টি দোকানে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা। বাড়ি-ঘর ভাংচুর, নগদ আনুমানিক ১৫-২০ লাখ টাকা ও স্বর্নালংকার লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে আত্রাই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলার ভবানীপুর বাজারের মৃত নজর উদ্দিন সরদারের ছেলে মোজাহার উদ্দিন, আব্দুল জলিল মন্ডলের ছেলে মিলন হোসেন মন্ডল, মৃত মংলা সাহার ছেলে বেলাল সাহা, মৃত শুকুর প্রামনিকের ছেলে হিরো ও সম্রাট, মোহাম্মদ আলীর ছেলে তাজিম উদ্দীন রকেট, মৃত নজের উদ্দীনের ছেলে ভুট্টু, আলিম সরদারের মেয়ে মাসুদা বেগম, মৃত খয়ের আলীর ছেলে লোকমান আলী পৃথক পৃথক ভাবে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে পূর্বমিরাপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে বায়েজিদ হোসেন নসিব, চৌধুরী ভবানীপুর গ্রামের আঃ জলিলের ছেলে সোহাগ হোসেন, মির্জাপুর গ্রামের মমতাজের ছেলে জহুরুল ইসলাম, চৌধুরী ভবানীপুর গ্রামের মৃত জান্টুর ছেলে সুমন হোসেন ও কুমন, পূর্বমিরাপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে শিমুল, চৌধুরী ভবানীপুর গ্রামের মৃত কলির ছেলে বেলাল হোসেন, হাতিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে মোঃ বানেজ, একই গ্রামের উজ্জল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান, চৌধুরী ভবানীপুর গ্রামের মোস্তার ছেলে মিনহাজুল ইসলাম, মির্জাপুর গ্রামের খয়ের মল্লিকের ছেলে আঃ মজিদ মল্লিক, চৌধুরী ভবানীপুর গ্রামের মৃত মানিকের ছেলে নিশান, ফুলবাড়ি গ্রামের ইমারুলের ছেলে মোঃ আলেফ, মির্জাপুর গ্রামের ময়নুল ইসলামের ছেলে স্বপন, মৃত জোবার ছেলে আঃ আজিজ, সোনার ছেলে সোহান, পূর্বমিরাপুর গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে মিলন, হৃদয় হোসেন, আঃ রাজ্জাকের ছেলে আতিকুল ইসলাম, মৃত আকবর আলীর ছেলে মামুন হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, উপরোক্ত আসামীরা পূর্বমিরাপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে বায়েজিদ হোসেন নসিবের নেৃতত্বে পূর্বের জের ধরে গত শুক্রবার রাতে প্রত্যেকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে নগদ ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা লুটপাট, আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শী গৃহবধু পপি বেগম ও জুয়েল সরদার জানায়, 'ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে বায়েজিদ হোসেন নসিবের নেতৃত্বে ২০/২৫জনের একদল সন্ত্রাসী বাজারে বসে থাকা অবস্থায় মৃত খয়ের আলীর ছেলে কামাল সরদার ও তার ভাই একরাম সরদারের উপর আতর্কিত হামলা চালায়। এতে তারা গুরুত্বর আহত হলে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেওয়া হয়। এরপর তারা আবারো আধাঘন্টা পর পুনরায় এসে উপরোক্ত ৮জনের বাড়িতে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ি-ঘর ভাংচুর, নগদ ১৫-২০ লাখ টাকা লুটপাট করে। শুধু তাই নয় ২টি দোকানের সকল মালামাল ও টাকা নিয়ে যায়। তাদের সকলের হাতে ধারালো হাসুয়া, লোহার রড, জিআই পাইপ, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক ছিল। আমরা তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তারা বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতিসহ হত্যার হুমকি দেয়।'
আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার নাজমুল হক নাহিদ বলেন, 'কামাল সরদারের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। ১৬টি সেলাই করা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হতে পারে।'
আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ সাহাবুদ্দীন বলেন, 'খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'