রা.বি তে সমন্বয়কের গোপন তথ্য কীভাবে ফাঁস হলো
পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আজ বুধবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের অবস্থান ধর্মঘটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবির সমন্বয়ক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র সালাউদ্দিন আম্মারের ভর্তি ফরমের ফটোকপি লিফলেট আকারে প্রচার করা হয়।
ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের বিষয়ে সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘পোষ্য কোটার মতো একটা অযৌক্তিক জিনিস নিয়ে দুই মাস ধরে আন্দোলন করে আসছি। এই আন্দোলনের কারণে পোষ্য কোটা বাতিল হয়েছে। আজকে দেখতে পাচ্ছি, আমার ব্যক্তিগত নথি ফাঁস করা হচ্ছে। পোষ্য কোটা বাতিল হওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে। গতকাল আমার বিভাগ নিয়ে কটূক্তি করেছে। আজকে তারা তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত নথি যুক্ত করে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অফিসার সমিতি যারা এই আন্দোলন পরিচালনা করছে, প্রতিটি সমিতির নামে আমি মামলা করব। এ ছাড়া আইসিটি বিভাগের পরিচালকের ষড়যন্ত্রের কারণে আমার নথি ফাঁস হয়েছে। অনতিবিলম্বে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত গোপন নথি নিয়ে তাঁকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার ইফতেখারুল আলম মাসুদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন ‘বিষয়টা জেনে আমিও অবাক হয়েছি, তবে সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারছি না, আমরা এ বিষয়টা নিয়ে কাজ করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই ব্যক্তিগত গোপন নথি কীভাবে প্রকাশ্যে এল, সে বিষয়ে প্রশাসন থেকে তদন্ত করা হবে। কেউ জড়িত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। প্রক্টর আরও বলেন, রেজিস্ট্রেশন ফরম একজন শিক্ষার্থীর গোপন নথি, যা আইসিটি সেন্টার, সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ একাধিক সেকশনে থাকে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মুক্তার হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীর এই নথি প্রকাশ্যে দেখে তিনিও অবাক হয়েছেন। এটা তাঁদের কাজ নয়। হয়তো তৃতীয় কোনো পক্ষ এই কাজটি করেছে, যাতে করে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে সম্পর্ক অবনতি হয়।
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে কোনো কথা নেই। যদি এই অভিযোগ ওই শিক্ষার্থী তুলে থাকেন, তাহলে তিনি যেন মামলা করেন। তিনি (সাইফুল ইসলাম) আইনগতভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করবেন।