সোনাগাজীর নরওয়ে প্রবাসীর ওপর বিমানবন্দরে নিরাপত্তা রক্ষীদের হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে ফেসবুক, বেসরকারি টিভি ও ইউটিউবে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সুলাখালী গ্রামের চাঁন মিয়া সওদাগর বাড়ির গিয়াস উদ্দিন সমির সপরিবারে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ নরওয়ের অসলোতে বসবাস করে আসছেন। সেখানে তিনি সন্তানদের নিয়ে গাড়ির ব্যবসা করেন। সাত জানুয়ারি পরিবারের পাঁচজন সদস্য নিয়ে সমির মিয়া দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। কাতার হয়ে সন্ধ্যায় সাতটার দিকে ঢাকায় হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। ইমিগ্রেশন শেষে সমির মিয়া চার সদস্য নিয়ে বারান্দায় আসেন। ভেতরে থাকা ছোট ছেলে সাঈদ উদ্দিন বাপ্পীকে বাইরে আসার জন্য ডাকার সময় কোহিনুর নামে এক নিরাপত্তা রক্ষী সমির মিয়াকে ধাক্কা দেন। এসময় ভতরে থাকা তার ছোট ছেলে এ দৃশ্য দেখতে পান। তিনি নিরাপত্তাকর্মী কহিনুরকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী জড়ো হয়ে সাঈদকে মারধর করেন। এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তারা সমঝোতা বৈঠক বসেন। গিয়াস উদ্দিন সমির বলেন, উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট সহ একাধিক কর্মকর্তা তাদেরকে নতুন ঝামেলায় পড়ার ভয় দেখিয়ে দোষ শিকার করতে বলেন। এক পর্যায়ে তাদেরকে দোষ শিকার করিয়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ওই ম্যাজিস্ট্রেট। তাৎক্ষণিক ঝামেলা এড়াতে তারা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দেন। বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় তারা গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেন। এসময় গিয়াস উদ্দিন সমীর, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, বড় ছেলে মহি উদ্দিন, ছোট ছেলে সাঈদ উদ্দিন ও তার স্ত্রী জান্নাত উপস্থিত ছিলেন। কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট বা বিমান বন্দরে কর্মরত কর্মরত নাম পরিচয় বলতে না পারায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। গিয়াস উদ্দিন সমির আরও বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পর অন্তবর্তী সরকার প্রবাসীদদের সেবার মান বৃদ্ধি করে ভিআইপি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা তিন দিন নির্ঘুম রজনী পার করে বিমান বন্দরে এসে হেনস্থা ও হামলা্র শিকার হয়েছি।