চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে উত্তপ্ত জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদ ইঞ্জিনিয়ার মো. ওমরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মৃত্যুর ১০ মাস ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে বুধবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। মরদেহ উত্তোলনের সময় কবরস্থানে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা। দায়িত্ব পালন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক শুভঙ্কর শুভ। এ সময় সহযোগিতা করে বোয়ালখালী থানা পুলিশের একটি টিম। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৪ জুলাইয়ের শহীদ ওমরের মরদেহ উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পুনরায় দাফন করা হবে।
মরদেহ উত্তোলনের সময় নিহত ওমরের মা ও পরিবারের সদস্যরা এলাকার লোকজন কবরস্থানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের চোখে ছিল অশ্রু, হৃদয়ে অসহনীয় শোক।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ওমরের মৃত্যু হয়। তখনকার স্থানীয় উত্তেজনার কারণে নিয়মিত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়।
পরে চলতি বছরের,
২০২৫,ইং ২৯ জানুয়ারি ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের সেই আদেশের ভিত্তিতে ১৬ জুন চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক স্বাক্ষরিত ওই আদেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমাকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।