কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের ছোটখাটামারী গ্রামে তিনদিন ধরে নিখোঁজ এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে স্থানীয়রা একটি পাকা কবরের দেয়ালের ভিতরে ওই নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
নিহত নারীর নাম সুমি খাতুন (৪০)। তিনি ওই গ্রামের মাষ্টারপাড়ার গাজীউর রহমানের মেয়ে। প্রায় ২২ বছর আগে সুলতান নামের এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। তবে পাঁচ বছর আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়। স্বামীর বাড়িতে তার দুই সন্তান রয়েছে। বিচ্ছেদের পর সুমি বাবার বাড়িতেই বসবাস করতেন এবং মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন বলে জানা গেছে।
নিহতের ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার (২৭ জুন) বিকালে সুমি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। তার মানসিক অবস্থার কারণে পরিবার শুরুতে বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি।
সোমবার সকালে গ্রামের আইজ উদ্দিন মাষ্টারের পাকা করা কবরের দেয়ালের ভিতরে এক নারী মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মরদেহে গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল এবং মুখে ফোলাভাব ছিল, যা সন্দেহজনক মনে হয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আল হেলাল মাহমুদ বলেন, "মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।"
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং এলাকাবাসীর মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।