বান্দরবান প্রতিনিধি:
বান্দরবানে অবৈধ বালি উত্তোলন ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সাহসী ও কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে সদর উপজেলা প্রশাসন। রবিবার (৭ই সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার হলুদিয়া, কাইচতলী ও তুলাতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা সুলতানা খান হীরামনি, যার নেতৃত্বে অভিযানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
অভিযানকালে অবৈধভাবে ৫টি পয়েন্ট থেকে বালি উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত মোঃ জাহেদ ও আবু বক্কর নামে দুইজনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট উইং থেকে মামলা দায়ের করা হয়। এসময় জব্দকৃত প্রায় ৪ হাজার ঘনফুট বালি নিলামের জন্য স্থানীয় ৪নং সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্যনু মার্মা ও এলাকাবাসীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফা সুলতানা খান হীরামনি সাংবাদিকদের বলেন—
> “অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা, জরিমানা এমনকি জেল পর্যন্ত হতে পারে। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং যারা এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের তথ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার হলুদিয়া, ভাগ্যকুল, তুলাতলি ও কাইচতলি এলাকার রামদা খাল তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট অবৈধভাবে বালি উত্তোলন চালিয়ে আসছে। এসব বালি তারা পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করত।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ নূর উদ্দীন, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ।
উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযানকে স্থানীয়রা প্রশংসা করছেন, বিশেষ করে ইউএনও মারুফা সুলতানা খান হীরামনির নেতৃত্ব ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করতে সক্ষম হবে বলে তারা মন্তব্য করছেন।