শনিবার   অক্টোবর ২৫ ২০২৫   ১০  কার্তিক  ১৪৩২


ফেরদৌস হাসান কুড়িগ্রামীর বাড়িতে গভীর রাতে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবেশ, বাড়ির মহিলাদের উপর পর্দাহানি

Faridul Islam Surjo

Updated 25-Sep-24 /   |   নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা প্রতিনিধি   Read : 174

কুড়িগ্রামে গভীর রাতে পর্দাশীল ও সুপরিচিত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ফিরদৌস হাসান কুড়িগ্রামী’র বাড়িতে পুলিশের প্রবেশ ও পর্দালঙ্ঘনের ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

ফিরদৌস হাসান কুড়িগ্রামী ছিলেন দাওয়াতি কাফেলা কুড়িগ্রামের দাঈ, লাব্বাইক কাফেলা কুড়িগ্রামের কোষাধ্যক্ষ, এবং মাদরাসা সাবীলুর রাশাদ-এর পরিচালক

ঘটনার বিবরণে বলা হয়, রাত ১টার পর থেকেই তার বাড়ি চারদিক থেকে ঘিরে রাখে কয়েকজন অপরিচিত যুবক (হাতে সুতা বাঁধা ছিল) এবং তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা। পরিবারের কাছে জানানো হয়েছে, রাতভর তাদের পারিবারিকভাবে বন্দি রাখা হয় এবং নানা তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

রাত আনুমানিক ২:৪০ মিনিটে বাড়ির বাউন্ডারির ফটক জোরপূর্বক খোলা হয়। এরপর ডান-বাম দুই পাশে থাকা বড় ভাইদের বাড়িতেও জোরপূর্বক প্রবেশ করা হয়। একপর্যায়ে মূল বাড়িতে প্রবেশ করে দুইজন পুলিশ ও একজন অপরিচিত ব্যক্তি। তারা সরাসরি বৃদ্ধা মায়ের ঘরে প্রবেশ করে।

অভিযোগে বলা হয়, বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন ফেরদৌস হাসানের ৮০ বছরের বেশি বয়সী অসুস্থ মা, বিবাহিত মেয়েদের মাদ্রাসার শিক্ষিকা এবং ছোট মেয়ে। তাদের সামনে এই হঠাৎ প্রবেশ ও পর্দাহানির ঘটনা সবাইকে চরম আতঙ্কিত করে। এতে বৃদ্ধা মায়ের শারীরিক অবস্থাও আরও অবনতি ঘটে।

ফিরদৌস হাসান জানান, “এটি আমাদের কাছে খুনের চেয়েও বেশি কষ্টদায়ক। মুক্তার মতো সংরক্ষিত নারীদের পর্দা আজ চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, পুরো ঘটনার সময় ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও লাইন বারবার কেটে যাচ্ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীরা বিশেষ ডিভাইস ব্যবহার করেছিল, যার কারণে আশপাশের ফোনগুলো অচল হয়ে গিয়েছিল।

শেষে স্থানীয় লোকজন জড়ো হতে শুরু করলে হামলাকারীরা দ্রুত সরে যায়।

এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহল ও ধর্মীয় নেতারা সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।