সোমবার   ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪   ৯  পৌষ  ১৪৩১


লালপুরে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে রেখেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী, দুর্ভোগে পথচারী

Admin user

Updated 24-Jan-20 /   |   Admin   Read : 64
জনদুর্ভোগ- লালপুর, নাটোর

এ জেড সুজন মাহমুদ,

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:

নাটোরের লালপুরে ত্রি-মোহনী চত্তরের অবৈধভাবে ফুটপাত  দখল করে রেখেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী ভাতের হোটেল ও ফলের দোকানসহ দোকান বসানোয় দূর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা। ফুটপাতজুড়ে অবৈধ দখলের কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছে সড়ক দিয়ে। এতে ত্রি-মোহনী চত্বর জুড়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, লালপুর-বাঘা সড়কের পাশ দিয়ে বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পযন্ত নব নির্মিত ড্রেনের স্লাবের ওপর সাধারণ মানুষ চলাচল করে। কিন্তু গত ২ সপ্তাহ যাবৎ ফুটপাতের মুখ বন্ধ করে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা।এতে মানুষ বাধ্য হয়ে সড়ক দিয়ে চলাচল করছে।

আর লালপুর- গোপালপুর সড়কের বাস স্টান্ডের পাশে রীতিমত মাছের বাজার বসিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে যেমন সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, তেমনি ছড়াচ্ছে পঁচা গন্ধ। তবে এখানে উপজেলা প্রশাসন একাধিকার অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছে। তারপরও বন্ধ করা যাচ্ছে না এই অবৈধ মাছের বাজার।

সরেজমিনে দেখা যায়, লালপুর ত্রি-মোহনী চত্বরে বিন্দু হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডার। তারা ফুটপাতের মুখে টেবিল বসিয়ে তাতে খোলা অবস্থায় জিলাপি, সিঙ্গারা রেখেছে। আবার সেখানেই রুটি পরোটা বানাচ্ছেন। তাদের চুলাও ফুটপাতেই। ধুলাবালির মধ্যেই তেল ভরা কড়াইয়ে ভাজা হচ্ছে মুখরোচক খাবার। তার আশেপাশের ফুটপাতেও বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ দোকান।

অন্যদিকে, বাস স্টান্ডের সড়কে পড়ে রয়েছে মাছের নোংরা-আবর্জনা। সড়কেই চলছে মাছের ব্যবসা। এতে সড়ক সরু হয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

এবিষয়ে মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, মাছ বাজারের নোংরা আবর্জনা থাকায় অনেক ক্রেতা সেখানে যান না। আর রাস্তার পাশে অনেক ক্রেতা পাওয়ায় তারা এখানে বসেন।

রেস্টুরেন্ট মালিক রতন জানান, অনেকেই তো ফুটপাতে বসে ব্যবসা করছে। আমি আমার দোকানের সামনে করছি। লোকজন ভেতর দিয়ে যাওয়া আসা করলে করতে পারবে।

নিরাপদ সড়ক চাই লালপুর শাখার সভাপতি এএম রায়হান বলেন, ফুটপাত অবৈধ দখলে চলে যাওয়ায় পথচারীরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। এতে করে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এবং ছোট বড় দূ্র্ঘটনাও ঘটছে। এজন্য ফুটপাতটা যেন মানুষের হাঁটার যোগ্য থাকে এবং সেটা যেন দখল না হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেয়ার দাবি জানাই।

এবিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতারের বক্তব্য পাওয়া যায় নি।