নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগের একদফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণা দেন। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে শহীদ মিনারে সমবেত প্রায় পঞ্চাশ হাজার ছাত্র-জনতার উদ্দেশে এ ঘোষণা দেন তিনি।
সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, রোববার থেকে অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি অব্যাহতভাবে চলবে গণ-অবস্থান ও বিক্ষোভ, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আল্টিমেটাম ও দেন তিনি।
এই সমন্বয়ক আরও বলেন, যদি ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি হয় আমরা মেনে নেব না। এখন ছাত্র-জনতার এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে অসহযোগ আন্দোলন পালন করবেন। সরকার যদি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, এটা জনগণ মানবে না। আপনারা যদি অস্ত্র চালান তাহলে প্রতিরোধ হবে। আমরা সব গণহত্যার বিচার করব বাংলার মাটিতে।
শেখ হাসিনা কে গনহত্যার কারিগর উল্লেখ করে অবিলম্বে পদত্যাগের কথা বলে জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বলে।
বাংলাদেশের জনগণ অসহযোগের নেতৃত্ব দেবে জানিয়ে তিনি দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ছাত্রদের ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানান।
এক দফা ঘোষণাপত্রে বলা হয়, যেহেতু বর্তমান সরকারের নির্দেশে নির্বিচারে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। নারী-শিশু-ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক কেউ এই গণহত্যা থেকে রেহাই পাননি। যেহেতু সরকার এই হত্যাযজ্ঞের বিচার করার পরিবর্তে নির্বিচারে ছাত্র-জনতাকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করছে। যেহেতু সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মরণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হত্যাযজ্ঞ সংঘটন করেছে। ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক-মজুরসহ আপামর জনগণ মনে করছে, এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ বিচার এবং তদন্ত সম্ভব নয়। সেহেতু, আমরা বর্তমান সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করছি ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানাচ্ছি।